সুখবর বাংলাদেশে, নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত না হলেও সুস্থ আরও ৪ করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯)

সুখবর বাংলাদেশে, নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত না হলেও সুস্থ আরও
সুখবর বাংলাদেশে, নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত না হলেও সুস্থ আরও ৪ করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯)


বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। এর মধ্যে ১৫ জন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। এদিকে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিভ্রান্তীকর প্রচারপত্র বিলি করার অভিযোগে মোট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লক্ষণ

লোকেরা অনুভব করতে পারেন:

·         কাশি

·         জ্বর

·         শ্বাস কষ্ট (গুরুতর ক্ষেত্রে)



করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯)

নিজেকে অন্যকে সুরক্ষিত রাখার উপায়


কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।


করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে দিশাহারা সারা বিশ্ব। প্রতি মুহূর্তে লাফিয়া লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর ঠিক উলটো ছবি ধরা পড়ল বাংলাদেশে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখানেই শেষ নয়, সে দেশে আরও জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দিন ঢাকায় এক অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থা সংস্থা আইইডিসিআর-এর ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাক্তার মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি জানান, আইইডিসিআর এখনও পর্যন্ত হাজার ৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আটটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে কারও দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মোট নিশ্চিত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮। এর মধ্যে জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর রেশ ধরে ডাক্তার ফ্লোরা আরও বলেন, 'আমরা একটা সুখবর জানাতে চাই। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এই পর্যন্ত মোট ১৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।' জানা গিয়েছে, ১৫ জনের মধ্যে জন পুরুষ, জন মহিলা। তাঁদের গড় বয়স ২৯ বছর।

নতুন করে সংক্রমণ রুখতে দিন সাধারণ মানুষকে আপাতত বাড়ি থেকে না বাইরে বের হওয়ার অনুরোধ করেছে আইইডিসিআর। বিশেষত প্রবীণ নাগরিক এবং গর্ভবর্তী মহিলাদের একেবারেই ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একইভাবে করোনা সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার উপরেও বিশেষ জোর দিয়েছে তারা।

স্বল্প পরিসরে হলেও বাংলাদেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে এর আগে সরকারি স্তরে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল। এমন একটি সময়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমে একেবারে শূন্যে নেমে আসায় স্বাভাবিকভাবে আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।



কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।



আমার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?
করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।
শিশুরা কি ঝুঁকিতে?
যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।
তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ায় দেখা গেছে।
সুখবর বাংলাদেশে, নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত না হলেও সুস্থ আরও ৪ করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) সুখবর বাংলাদেশে, নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত না হলেও সুস্থ আরও ৪ করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) Reviewed by NINDOOK LIFE on March 29, 2020 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.