"ভ্যাবাচ্যাকা"
পর্ব - ১
সবসময় বাবা মায়ের ঘ্যান ঘেনানী আর সহ্য হয় না। বাসায় তুমুল ঝগড়া করে বেড়িয়ে পড়লাম। চিন্তা করলাম টানা কিছুদিন আর বাসায়ই ফিরবো না। যেই ভাবা সেই কাজ। সন্ধ্যা হয়ে গেলো তবুও বাসায় ফিরলাম না। আমি বরাবরই একটু সাহসী। আমাদের এলাকায় একটা ভয়ঙ্কর জঙ্গল আছে। যেখানে রাতে কেউ সাধারনত যায় না। লোকে বলে সেখানে নাকি ভূত আছে। আমি অবশ্য এগুলো বিশ্বাস করি না। জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করলাম। তারপর ভাংগা একটা বাড়ির স্তুপ আছে সেখানে আধ শোয়াভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ কিছু একটার শব্দ পেলাম। আমি নড়েচড়ে উঠলাম। সামনে এগিয়ে গেলাম বাশ বাগানের নিচ দিয়ে। যেখান দিয়ে আমি একটু আগে এসেছি। ওমা এ কি সামনে দেখি কয়েকটা বাশ পড়ে আছে। আমি ভাবছি জোরে বাতাসও তো হয়নি আবার কেউ তো বাশ ও কাটেনি তাহলে এমন অবস্থা কেনো? আমি পিছনে ফিরলাম। কিছু বিকট শব্দ হচ্ছে। গাছের ডালগুলো মড়মড় করছে। আমি যেনো পাগল হয়ে যাচ্ছি। কি করবো বুঝতে পারছি না। দৌড়াতে লাগলাম। কিন্তু কিছুতেই জঙ্গল পার হতে পারছি না।। ঘুরে ফিরে সেই একই যায়গায় ফিরে আসছি। তারপর মনঃস্থির করলাম যাই হোক আর ঘাবরালে চলবে না। এবার মাথা খাটাতে হবে। আমি চুপ করে দেখছি এবার কি হয়।। দেখলাম সামনের বড় যে পুরাতন বড গাছ আছে সেখানে আবছা আলোয় কি জেনো নড়াচড়া করছে আমি একটু এগিয়ে গেলাম। তারপর যা দেখলাম আমার সব কিছু ঠান্ডা হয়ে যেতে লাগলো। দেখলাম কয়েকটা যুবতী মেয়ের লাশ ঝুলছে। সবার জিহবা বের হয়ে আছে। চোখ গুলো বড় বড়। হঠাৎই সব হাওয়ায় মিশে গেলো। পিছনে বাশঝাড় দিয়ে কে যেনো এগিয়ে আসছে। হাতে দড়ি আছে বোঝা যাচ্ছে। আমি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম। এবার চুপ করে বসে দেখছি। একটু আগে যে পথে বাশ ছিলো তা আর এখন নেই। মেয়েটি বড় বডগাছের দিকে এগিয়ে গেলো। তারপর দড়ি বাধিয়ে গলা বাধানোর আগে কিছুক্ষন কাদলো। তার জামা কাপর ছেড়া ছিলো। দেখে মনে হলো কেউ নির্যাতন করেছে। মেয়েটি দড়িটা গলায় পড়িয়ে ঝুলে গেলো। সাথে সাথে তার হাত পা ঝাপটানো শুরু। বডগাছটাই শুরু হলো প্রচন্ড হাসাহাসির বিকট আওয়াজ। কেউ বলছে আয়...... কেউ বলছে এইতো মর.... নানারকম বিধঘুটে আওয়াজ আর হাসি।। কিছুক্ষন পর আমার ঘারে কে জেনো স্পর্শ করে ডাকলো আমি পিছনে তাকাতেই আমার চোখ কপালে উঠলো। একটা হাতের উপর কাটা মুন্ডু। মাথাটা হাসছে। আমি খুব ভয় পেলাম।। সাথে সাথে বেহুশ।আমার আর হুশ নেই।
পর্ব - ১
সবসময় বাবা মায়ের ঘ্যান ঘেনানী আর সহ্য হয় না। বাসায় তুমুল ঝগড়া করে বেড়িয়ে পড়লাম। চিন্তা করলাম টানা কিছুদিন আর বাসায়ই ফিরবো না। যেই ভাবা সেই কাজ। সন্ধ্যা হয়ে গেলো তবুও বাসায় ফিরলাম না। আমি বরাবরই একটু সাহসী। আমাদের এলাকায় একটা ভয়ঙ্কর জঙ্গল আছে। যেখানে রাতে কেউ সাধারনত যায় না। লোকে বলে সেখানে নাকি ভূত আছে। আমি অবশ্য এগুলো বিশ্বাস করি না। জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করলাম। তারপর ভাংগা একটা বাড়ির স্তুপ আছে সেখানে আধ শোয়াভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ কিছু একটার শব্দ পেলাম। আমি নড়েচড়ে উঠলাম। সামনে এগিয়ে গেলাম বাশ বাগানের নিচ দিয়ে। যেখান দিয়ে আমি একটু আগে এসেছি। ওমা এ কি সামনে দেখি কয়েকটা বাশ পড়ে আছে। আমি ভাবছি জোরে বাতাসও তো হয়নি আবার কেউ তো বাশ ও কাটেনি তাহলে এমন অবস্থা কেনো? আমি পিছনে ফিরলাম। কিছু বিকট শব্দ হচ্ছে। গাছের ডালগুলো মড়মড় করছে। আমি যেনো পাগল হয়ে যাচ্ছি। কি করবো বুঝতে পারছি না। দৌড়াতে লাগলাম। কিন্তু কিছুতেই জঙ্গল পার হতে পারছি না।। ঘুরে ফিরে সেই একই যায়গায় ফিরে আসছি। তারপর মনঃস্থির করলাম যাই হোক আর ঘাবরালে চলবে না। এবার মাথা খাটাতে হবে। আমি চুপ করে দেখছি এবার কি হয়।। দেখলাম সামনের বড় যে পুরাতন বড গাছ আছে সেখানে আবছা আলোয় কি জেনো নড়াচড়া করছে আমি একটু এগিয়ে গেলাম। তারপর যা দেখলাম আমার সব কিছু ঠান্ডা হয়ে যেতে লাগলো। দেখলাম কয়েকটা যুবতী মেয়ের লাশ ঝুলছে। সবার জিহবা বের হয়ে আছে। চোখ গুলো বড় বড়। হঠাৎই সব হাওয়ায় মিশে গেলো। পিছনে বাশঝাড় দিয়ে কে যেনো এগিয়ে আসছে। হাতে দড়ি আছে বোঝা যাচ্ছে। আমি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম। এবার চুপ করে বসে দেখছি। একটু আগে যে পথে বাশ ছিলো তা আর এখন নেই। মেয়েটি বড় বডগাছের দিকে এগিয়ে গেলো। তারপর দড়ি বাধিয়ে গলা বাধানোর আগে কিছুক্ষন কাদলো। তার জামা কাপর ছেড়া ছিলো। দেখে মনে হলো কেউ নির্যাতন করেছে। মেয়েটি দড়িটা গলায় পড়িয়ে ঝুলে গেলো। সাথে সাথে তার হাত পা ঝাপটানো শুরু। বডগাছটাই শুরু হলো প্রচন্ড হাসাহাসির বিকট আওয়াজ। কেউ বলছে আয়...... কেউ বলছে এইতো মর.... নানারকম বিধঘুটে আওয়াজ আর হাসি।। কিছুক্ষন পর আমার ঘারে কে জেনো স্পর্শ করে ডাকলো আমি পিছনে তাকাতেই আমার চোখ কপালে উঠলো। একটা হাতের উপর কাটা মুন্ডু। মাথাটা হাসছে। আমি খুব ভয় পেলাম।। সাথে সাথে বেহুশ।আমার আর হুশ নেই।
"ভ্যাবাচ্যাকা"
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
January 26, 2020
Rating:
No comments: