অতঃপর গণিকার সাথে - ৪।।



লেখিকা ঃ ফুলেল প্রেমিকা।।। আজ আমার প্রিয়তমা রিতুর বিয়ে। হয়তো তাকে খুব সুন্দর লাগবে বধূর সাজে। কত আশা ছিল তাকে বউ করে ঘরে তুলবো। সব স্বপ্ন আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেল। কিছুতেই আজ মনটা শান্ত হচ্ছে না।এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম আমি অনেক দূর চলে যাবো। কিন্তু কোথায় যাব জানি না। ঘর থেকে বেরিয়ে অজানার পথে রওয়ানা দিলাম। যখন গ্রামের পথ পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। হাঁটতে হাঁটতে স্টেশনে পৌঁছলাম। স্টেশনে যখন পৌঁছলাম তার অল্প কিছুক্ষণ পরেই একটা ট্রেন আসল।আমি কিছু চিন্তা না করেই ট্রেনে উঠে অজানার পথে পা বাড়ালাম। ট্রেন চলল আপন গতিতে। আমি তখনো আনমনে চিন্তা করেই যাচ্ছিলাম। ট্রেনের ছোট জানালাটা খুলে বাইরে তাকালাম।আকাশে মিটিমিটি তারাগুলো জ্বলজ্বল করছে। বাইরের পরিবেশটা খুব চমৎকার লাগছিলো। আমি রাতের প্রকৃতির শোভা মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ ট্রেনটা কোনো একটা স্টেশনে থামল। যাত্রীরা ওঠতেই আবার ট্রেন চলতে লাগলো। একটা যুবতী মেয়ে আমার পাশে এসে বসলো। আমি তখনো মেয়েটার দিকে ভালো করে লক্ষ্য করিনি। এক রকম গায়ে হেলেই বসলো মেয়েটা। কিছুক্ষণ পর আমি তার দিকে দৃষ্টি দিতেই দেখি মেয়েটা অপূর্ব সুন্দরী। বয়স ১৬-১৭ হবে। ঠোঁটে গাঢ় করে লাল লিপস্টিক দেয়া। চোখে কাজল। ওর চোখ দুটি খুব মায়াবী। হঠাৎ মেয়েটা বলল, ভাইজান কই যাইবেন? আমি বললাম জানি না। তখন সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। বলল, ভাইজান কি পাগল, কই যাবেন জানেন না।আমি কিছুই না বলে বাইরের প্রকৃতি নজর দিলাম। কিছু সময় পর ৩ টা অল্প বয়সী ছেলে আসলো। বয়স হয়তো ১৭-১৮ হবে।চিকন পাতলা রোগা চেহারা ওদের। দেখেই মনে হচ্ছে মাদক সেবন করে। ওদের মাঝে একটা ছেলে সিগারেট টানতে টানতে মেয়েটাকে বলল রেট কত? মনে হয় সে ওদের উস্তাদ। ওরা মেয়েটাকে নিয়ে একটু দূরে গেল। ওদের মাঝে কি কথা হল জানি না। ওদের আর মেয়েটার মাঝে কি নিয়ে যেন তর্ক হচ্ছিল আমি বুঝতে পারলাম না।আমি হতভাগ হয়ে তাকিয়ে রইলাম
অতঃপর গণিকার সাথে - ৪।। অতঃপর গণিকার সাথে - ৪।। Reviewed by NINDOOK LIFE on July 13, 2019 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.