লেখিকা ঃ ফুলের প্রেমিকা।।। সেদিন রাতে আর বাড়ি যায় নি। রিতুকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে সময় যাচ্ছে তা নিজেও জানি না।ওর সাথে কাটানো দিনগুলো, সুন্দর মুহূর্তগুলো, দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া সব এলোমেলো হয়ে আমার চোখের সামনে ভেসে চলছে। মনে মনে নিজের ভাগ্যকেই দোষ দিলাম। হয়তো আমার ভাগ্যে তা ছিল না। কিন্তু মন থেকে কিছুতেই ওকে সরাতে পারছিলাম না। এভাবে কষ্টের একটা নির্ঘুম রাত কেটে গেল। সকাল হল, তখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করছে বাড়ির পথ ধরে ক্লান্ত দেহ মন নিয়ে হাঁটা দিলাম। বাড়ি ফিরতেই নতুন মায়ের বকা আর অগ্নিশর্মা চক্ষু দেখলাম। আমি সেদিকে কর্ণপাত না করেই ঘরে প্রবেশ করলাম।ঘরে ঢুকেই এলোমেলো বিছানায় শুয়ে পরলাম। এভাবে কেটে গেয় কয়েকটা দিন। রিতুর সাথে কথা নেই, তবে ওর স্মৃতিগুলো আমারে খুব কষ্ট দিচ্ছিলো। কত আশা নিয়ে মেয়েটা আমার কাছে এসেছিল। আগামীকাল তার বিয়ে।হয়তো খুব কান্নাকাটি করছে পাগলীটা। দেখতে খুব ইচ্ছা করছে। শুধু এক পলক দেখার জন্য মনটা খাঁচার বন্দী পাখির মত ছটফট করছে। আমি কি যাব, একটি বার কি শেষ দেখা করে আসব, না থাক আর দেখা হবে না। এসব ভাবতে ভাবতে নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে লাগলাম। মাথাটা খুব ব্যাথা করছে।খুব কষ্ট হচ্ছে। বেশ কয়েক দিন ধরে ঘুম নেই, ঠিক মতো খাওয়া নেই।আয়নায় সামনে গেলাম নিজেকে দেখে হাসি পাচ্ছে। নিজেকে নিজেই চিনতে পারছি না।সত্যি এটা কি আমি! চোখ দুটো ফ্যাকাসে ও লাল বর্ণ, চুলগুলো এলোমেলো, মখটা মলিন। হঠাৎ পাশের বাড়ির ছোট ভাইয় ঘরে এসে একটা নীল খামের চিঠি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, এটা রিতু আপা আপনাকে দিতে বলছে। ছেলেটা চলে যাওয়ার পর রিতুর দেওয়া শেষ চিঠিটা খুলে পড়লাম।রিতুর বলা কথা গুলো পড়তে পড়তে চোখ ভিজে গেল। কিছু না বলা কথা আর কিছু উপদেশ ছিল। চিঠিটা খুব যত্ন করে রেখে দিলাম
অতঃপর গণিকার সাথে -৩।।
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
July 13, 2019
Rating:
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
July 13, 2019
Rating:

No comments: