লেখিকা ঃফুলের প্রেমিকা৷৷ অবশেষে নদীর ধারে রিতুর সাথে দেখা করতে গেলাম।সেদিন রিতু নীল শাড়ী পরে এসেছিল। কপালে নীল টিপ। চোখে গাঢ় কাজল, ঠোঁটগুলো ছিল গোলাপি।অপরূপা লাগছিল তাকে।আমি মুগ্ধ হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকে দেখছিলাম। তবে সে চুপ হয়ে দাড়িয়ে ছিল কিছুক্ষন কেমন যেন অন্যমনস্ক লাগছিল। আমি নীরবতা ভেঙে বললাম, কি হয়েছে রিতু? তোমারে এমন লাগছে কেন,কি চিন্তা করছ? সে কিছু না বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদঁতে আরম্ভ করল।বলল,আমি তোমাকে হারাতে চাই না নির্ঝর। তোমাকে নিয়ে সারাটা জীবন তোমার পাশে থাকতে চাই। খুব ভালোবাসি তোমায়। বল না, আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না? পাগলীটা এসব বলতে বলতে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আমায়।আমি ওর চোখের জল মুছতে মুছতে বললাম,কি হয়েছে? পাগলী একটা এভাবে কেউ কাঁদে? সে বলল আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে নির্ঝর।মায়ের এক বান্ধবীর ছেলের সাথে।আমি তোমাকে হারাতে চাই না।চল দুজন পালিয়ে যাই। আমি হতভম্ব হয়ে ওর কথা গুলো শুনলাম। খুব কষ্ট লাগছিলো ওই দিন। মনে হচ্ছিল আমার পায়ের নিচ থেকে ক্রমশ মাটি সরে যাচ্ছিল।আমার জিহ্বা ভারী হয়ে আসছিল। কথা আসছিল না মুখ দিয়ে। অন্যদিকে রিতু কেঁদেই চলছিল। আমি কিছু চিন্তা না করেই বললাম তুমি বাড়ি ফিরে যাও রিতু।সন্ধ্যা হয়ে আসছে চলে যাও। আর শোন তোমার মায়ের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করো।দোয়া করি অনেক সুখী হও। আমার কথা গুলো শুনে রিতু বলল,কি বলছ তুমি এসব নির্ঝর? আমি তো চলে যাওয়ার জন্য তোমার কাছে আসি নি।আমি তোমাকে ভালোবাসি হারাতে চাই না তোমায়।প্লিজ চলো, পালিয়ে যাই। তখন রিতুকে বললাম তুমি চলে যাও।আর কোনোদিন এসো না।আমি চাই তোমি ভালো থেকো, সুখী হও।পরে ওর কোনো কথা না শুনেই এক রকম জোর করেই মেয়েটাকে তাড়িয়ে দিলাম।সে চলে যাওয়ার পর একা একা অনেক রাত পর্যন্ত ওই নদীর ধারে বসে ভাবছিলাম। ওর শেষ কথাগুলো। খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমিও তো তাকে নিয়ে একটা সাজানো ভালোবাসার সংসারের সপ্ন দেখছিলাম। হয়তো আমার ভাগ্যে তা লিখা ছিল না।আকাশে চাঁদের আলো নদীর জলে পরে ঝলমল করছিল। চারদিক খুব নিস্তব্ধ। আজ কোনো পাখির ডাক নেই।তবুও পরিবেশটাকে আমার কাছে অসহ্য মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল সব কিছু যেন আজ আমার অসহায়ত্বের পরিহাস করছে
অতঃপর গণিকার সাথে -২৷৷
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
July 13, 2019
Rating:
No comments: