অতঃপর এক গণিকার সাথে -১


লেখিকা ঃ ফুলের প্রেমিকা৷৷ আ
জকের সকালটা অন্যান্য দিনের মতোই চমৎকার ছিল।কুসুমের রংয়ের মতো রোদ্রের আলো উঠানে জ্যোতি ছড়াচ্ছিল। কয়েরটা কাক এসে বসল একটা নিম গাছে আর আপন মনে ডাকছিল। নতুন লাগানো গোলাপ গাছে ৪ টা লাল গোলাপ ফুটেছিল। লাল গোলাপ আমার খুব পছন্দের। কিন্তু কেন জানি আজ সব কিছুই অসহ্য মনে হচ্ছিল। আজকের সকাল, গোলাপ, এ জগৎ সংসার সব কিছু ই মূল্যহীন লাগছিল। আমি নির্ঝর। বয়স ২৪। খুব ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছি।আমার যখন ৫ বছর তখন মা মারা যায়।বাবা আবার বিয়ে করে নতুন মা ঘরে তুলেন।তখন থেকেই আমার কষ্টের জীবনে নতুন কষ্ট যোগ হয়।মা হারা সন্তান যেমন অবহেলায় বড় হয় আমিও ওদের মতোই বড় হয়েছি।আমার নতুন মায়ের ঘরে একটা বোন হয়। বোন হবার পর যেন প্রতিনিয়ত অত্যাচার বেড়েই চলেছে। অনেক সময় লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদি আর মৃত মায়ের কথা মনে করি।তবু মনে আশা ছিল একদিন হয়তো অনেক বড় হব হয়তো কোনো কষ্ট থাকবে না।এভাবেই দিন কাটছিল। আমি যখন SSC পাশ করে কলেজে ভর্তি হই তখন রিতু নামের একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়।মেয়েটাকে প্রথম দেখাই ভালো লাগল।খুব সুন্দরী নয়,তবে চেহারাটা লাবণ্যময়, সুশ্রী ও মায়াবতী। কিছুদিন পর বন্ধুত্ব হয় ওর সাথে।আমার সব সুখ দুঃখের কথাই তাকে বলতাম। সেও খুব সাপোর্ট দিত আমায়।এভাবে ভালোই চলছিল আমাদের দিনগুলি। একদিন নদীর পাড়ে দুজন বসে কথা বলছিলাম তখন পাগলীটা আমায় ভালোবাসার কথা বলছিল। আমি প্রথমে মানা করলে সে কান্না শুরু করে।ওর কান্না দেখে পাগলীটাকে বুকে জড়িয়ে নেই। আসলে আমিও তাকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম কিন্তু ভয়ে বলি নি।যদি শেষে বন্ধুত্বটা না থাকে।অবশেষে প্রেম হয়ে গেল।রিতু তার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।খুব ভালো পরিবারের হাসিখুশি ও বুদ্ধিমাতী মেয়ে। দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতাম। ওর সাথে কাটানো দিনগুলো খুব ভালোই চলছিল। পাগলীটাকে দেখে কষ্টের মাঝেও দুঃখ গুলো ভূলে থাকতাম। HSC পরীক্ষার পর সে এক দিন ফোন দিয়ে বলল নির্ঝর তোমার সাথে কিছু কথা আছে।আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। প্লীজ আজ বিকেলে দেখা করো।আমি বললাম ঠিক আছে। তুমি বিকেল ৪ টায় নদীর ধারে আসো
অতঃপর এক গণিকার সাথে -১ অতঃপর এক গণিকার সাথে -১ Reviewed by NINDOOK LIFE on July 13, 2019 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.