লেখিকা ঃ ফুলের প্রেমিকা।।। আমি মেয়েটাকে বললাম, তোমার নাম কি? মেয়েটা কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমার নাম মায়া। সত্যিই তার চেহারার সাথে নামের মিল আছে বলতেই হয়। বললাম, এতরাতে তুমি একা মেয়ে মানুষ কোথায় যাচ্ছ? মেয়েটা বলল, ভাইজান, আমাগো আবার রাইত দিন বলতে বলতে হাসতে লাগল। যেখানে রাইত হয় সেখানেই থাকি। আমাগো জানের কোনো মায়া নাই ভাইজান। মেয়েটাকে একটু বিষণ্ন মনে হলো। আমি বললাম, তুমি কোথায় নামবে ? সে বলল, ঐ সামনের তিনটা স্টেশন পাড় হলেই উজাড়পুর গাঁ। ঐ হানেই এক কুুটিরে আমি থাকি। আচ্ছা এখনো তো যেতে অনেক দূর আমার ক্ষুধা লাগছে, আমি খাবো। বলেই মেয়েটা তার ব্যাগ থেকে খাবার বের করে খেতে লাগলো। আমাকেও খাবার জন্য জোর করলো। আমি না করলাম কিন্তু মানলো না একরকম জোর করেই খাবারটা আমার মুখে দিল। খাবার শেষ করে মায়া বলতে লাগলো। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে ভাইজান । দুই রাই ধইরা ঘুমাইতে পারি না এক বুড়ার সাথে থাকতে হয়ছে। শালা বুইড়া কয় দিন পর কবরে যাবি এহনো কত শখ বুইড়ার। জানেন ভাইজান ওই বুইড়ার বউ মরছে এক বছরো হয়নি , পোলামাইয়া নাতি নাতনিও আছে তবু বুইড়ার লাজ শরম নাই। তার মেয়ের বয়সী আমার সাথে রাইত কাটাই। তবে বুইড়ার মন ভালো মেলা টেহা দেয়। মাঝে মাঝে গিফট্ও দেয়। বুইড়ার মেলা টেহা কিন্তু আমাগো মতো মাইয়াগো পিছনে নষ্ট করে। একবার জানেন ভাইজান কি হয়ছে, মায়া হসতে হাসতে বললো, বুইড়ার বড় মাইয়া ফোন দিছে। বলে আব্বা তোমি কোথায়? তোমার বাড়িতে একা একা থাকার দরকার নাই , তুমি আজ আমাদের বাসায় আসো। বুইড়া কয়, মা আমি তো আজ আসতে পারবো তোমার আম্মার স্মৃতি নিয়ে এখানেই বাকি জীবন কাটাতে চাই । এখানে থাকলে মনে হয় তোমার আম্মা আমার সাথেই আছে। বুইড়ার কথাগুলা শুনে আমার খুব হাসি পাচ্ছিল ভাইজান। শালা বুইড়া খাটাস আমারে জড়িয়ে ধরে আছে আর কয় কিনা মরা বউয়ের স্মৃতির জন্য বাড়ি ছাড়তে চায় না। আমি মায়ার কথাগুলো নির্বাক হয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম এতক্ষণ। তার কথাগুলো শুনে আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে সে কি কাজ করে। কিছু না বলে চুপ করে ছিলাম আর মনে মনে মেয়েটার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করলাম। কিছুক্ষণ পর মায়াকে বললাম, তুমি কেনো এ পথে আসলে
অঃপর গণিকার সাথে। পার্ট - ৫ ।
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
July 13, 2019
Rating:
No comments: