লেখিকা ঃ ফুলের প্রেমিকা ।। এতক্ষণ মায়ার কথাগুলো আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। মাঝে মাঝে নৃশংস ঘটনার বর্ণনায় শিহরিত হলাম। সে একটু দম নিয়ে আবার বলতে শুরু করলো, আমার স্বামী পাশের বাসার এক ভাবীকে ডেকে নিয়ে আসল। মহিলার পরনে ছিল লাল রঙের একটা পাতলা শাড়ী আর চিকন ফিতার কালো ব্লাউজ। চিকন ঐ কালো ব্লাউজটা ছিঁড়ে ওর ভারী স্তনযোগল বাইরে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে । দেখে মনে হচ্ছে মহিলার বয়স হবে ৩০-৩২। পাতলা লাল শাড়ীটা কোনো রকমে গায়ে জড়ানো। তার ফর্সা পেটের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে । মহিলা ঘরে ডুকেই আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরলো। দুজনে আমার সামনে নির্লজ্জের মতো চুমো খেল। আমি মাথা নিচু করে ভয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে কাঁপছিলাম। স্বামী আমাকে দেখিয়ে মহিলাকে লক্ষ্য করে বললো, ভাবী ওইটা আমার নতুন বিয়ে করা বউ। দেখতে খুব টসটসে কচি, তাই না? বলেই দুজনে একসাথে জড়াজড়ি করে হাসতে লাগলো । ভাবী, ওর ভাই বলেছিল বিয়ের সময় ৫০ হাজার টেকা দিবে কিন্তু টেকা না দিয়েই আমার কাছে গছিয়ে দিয়েছে। আমি আবার টেকা ছাড়া কিছুই বুঝি না। এত সুন্দর রূপ দিয়ে কি করবো। ঘরে এত সুন্দর রসে টইটুম্বুর বউ রেখে টেকার কষ্ট করবো কেনো। তাই ভাবলাম ওকে দিয়ে ব্যবসা করাবো। আজ সন্ধ্যা বেলায় আমার কিছু বন্ধু আসার কথা ছিল। তাই মায়াকে তুমি একটু খোলামেলা ড্রেস পরিয়ে সাজিয়ে দাও। যেন আমার বন্ধুদের ওকে মনে ধরে আর তারা যেন বারবার তার কাছে আসে। মহিলাটা অট্টহাসি দিয়ে বলতে লাগল, সত্যিই দেবর তুমি একটা মাইয়া আনছো বটে। মাইয়া তো না, যেন রসের হাঁড়ি, আসমান থেইকা নাইমা আসা হুর পরী। সারা গায়ে যেন মধু ঢেলে রাখছে। আচ্ছা তুমি যাও আমি ওকে রেডি করে আনছি। যাবার আগে আমার স্বামী ওই মহিলাকে চুমো দিয়ে গেলো। আমার মুখ দিয়ে তখনো কোনো কথা বের হচ্ছিল না, শুধু ভয় আর আতংকে কাঁপতেছিলাম। মহিলাটি পান চিবুতে চিবুতে আমার শরীর থেকে কাপড় খুলে ফেললো। কাপড় চোপড় খোলে খুব ছোট ছোট ড্রেস পরতে বলল, আমি রাজি হচ্ছিলাম না। কান্নাকাটি করতে করতে তার পায়ে ধইরা কইলাম, আফা আমারে ছাইড়া দেন। আমারে মারেন, কাটেন আমি ওসব ছোট কাপড় পরতে পারুম না। আমি আফনের ছোট বইনের মতো আমারে বাঁচান আফা। মহিলাটি আমার প্রতি বিরক্ত হয়ে কানের উপর জোড়ে থাপ্পড় মারে। আমি যেন কানো কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না, শুধু কেঁদেই যাচ্ছিলাম। মহিলাটি জোর করে ছোট ড্রেস পরিয়ে দিল। নিজের কাছে খুব লজ্জা আর অপমানজনক মনে হচ্ছে। মরে যেতে ইচ্ছা করছে। খুব গাঢ় করে লাল লিপস্টিক লাগিয়ে দিল, একপাশ খোলা রেখে চুলগুলো বেঁধে দিল। নিজের প্রতি ঘৃণা হতে লাগল। মহিলাটি আমাকে ঘরে আটকে রেখে চলে গেলো। আমি ঘরে কাঁদতে লাগলাম । সন্ধ্যার সময় আমার স্বামী সাথে ৪ টা বন্ধু নিয়ে রুমে আসলো। আমি লজ্জায় গায়ের ছোট কাপড়টা বুকের দিকে টেনে দিয়ে গুঁটিশুটি মেরে বসে রইলাম। ওর বন্ধুগুলো সিগারেট টানতে টানতে বললো, দোস্ত তোর বউ তো দারুণ মাল মাইরী । আজ রাতটা মনে হয় ভালোই কাটবে। একটা বন্ধু সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াতে ছাড়তে বললো, দোস্ত কয়টা বোতল আনলাম। বোতল ছাড়া আসর জমে না। আজ আমরা তোর বউকে নিয়া সুখের রাজ্যে হারিয়ে যাব, আমার আর দেরী সহ্য হচ্ছে না বলেই সবাই জোরে জোরে হাসতে লাগলো। এদিকে ওদের ভয়ঙ্কর চেহারায় আর ব্যাবহারে আমার গলা শুকিয়ে গেল,হাত পা কাঁপতে লাগল। আমি বুঝতে পারছিলাম এই পশুদের হাত থেকে হয়তো আর নিজেকে বাঁচাতে পারবো না। আমার স্বামীর হাতে ওদের এক বন্ধু কিছু টেকা দরিয়ে দিল। অতঃপর স্বামী নীরব দর্শকের মতো চেয়ারে বসে নিজের স্ত্রীর পরপুরুষের হাতে ধর্ষণ দেখার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। ওর বন্ধুরা আমার চারপাশে ঘিরে বসে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললো, ভাবী আফনে স্বর্গ থেকে নাইমা আসা পরী। কি সুন্দর পাগল করা রূপ যৌবন আফনের। আমরা আইজক্যা আফনার পাগল করা রূপের সাগরে সাঁতার কাঁটবো। ওদের একজন আমার হাত ধরে কাছে টেনে নিল। সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ আমার সহ্য হচ্ছিল না, বমি আসবে মনে হচ্ছে । একজন মদের একটা বোতল খুলে জোর করে আমার মুখে মদ ঢেলে দিল। এসব সহ্য হচ্ছিল না, নিজেকে খুব অসহায় আর ঘৃণা হচ্ছিল নিজের উপর। ওরা সবাই মদের বোতল খোলে মদ খেতে লাগলো। সবার চক্ষুগুলো লাল রক্ত বর্ণ, কালো, বিশালদেহী পুরুষেরা ক্ষুধার্ত বাঘের মতো আমাকে তাদের খাবার ভাবছিলো
অতঃপর গণিকার সাথে।। পার্ট - ৭।।
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
July 13, 2019
Rating:
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
July 13, 2019
Rating:

No comments: