লেখিকা ঃ পেত্নী ।।। আমার স্বামীর চার বন্ধুর মধ্যে একজনের নাম ছিল খলিল। লোকটা অন্যদের তুলনায় বিশালদেহী, লম্বা, চওড়া, মুখে ঘন কালো গোঁফ। সে মদ খেতে খেতে আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে তার কোলের উপর বসালো। মুখ থেকে তখনও মদের গন্ধ ভেসে আসছে। বলল, ভাবী আফনেও আমার সাথে একটু মদ খাইয়া গলাটা ভিজাইয়া নেন। বলেই আমার মুখের মধ্যে জোর করে মদ ঢেলে দিল। মদের গন্ধে মাথাটা ঘুরতে লাগলো। চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না । খুব বমি হবে মনে হচ্ছিল। হয়তো প্রথমবার মদ খাওয়ায় নেশা ধরে যায় নি। খলিলের সাথে থাকা অপর তিন জন হলোঃ রফিক , খোকন ও কামাল। প্রত্যেকেই ক্ষুধার্ত দৃষ্টিতে আমায় দেখছিলো। ওদের মদ খাওয়া শেষ হতেই প্রথমে খলিল আমার উপর ঝাঁপিয়ে পরলো। আমি তার কাছে অসহায়ের মতো কাকুতি মিনতি করে কাঁদতে লাগলাম। বললাম, ভাইজান আমি আফনের ছোট বইনের মতো। আমার এত বড় সর্বনাশটা কইরেন না । আমি আফনের পায়ে ধরি ভাইজান আমারে ছাইড়া দেন। পাষণ্ড খলিলের মনে একটুও দয়া হয়নি, বরং সে বলতে লাগলো, দেখ মাগি আমরা তোর স্বামীর কাছে গুনে গুনে পাঁচ হাজার টেকা দিছি তোর রূপের সুধা পান করবো বলে। এখন তুই আমাদের আনন্দ নষ্ট করবি এটা তো হবে না। এর থেইকা ভালো ছিল মমতার কাছে যাওয়া। তুই নতুন মাল আর তোর স্বামী আমাগোরে এত করে অনুরোধ করছে তাই আইছি। তুই তো মানুষ না রে রূপের রাণী বলেই আমার ঠোঁটের উপর একটা কামড় বসিয়ে দিল। খুব কষ্ট হচ্ছিল এতগুলো লোকের মাঝে আমি একা নিজেকে বাঁচাতে পারিনি। অন্য দিকে আমার স্বামী চেয়ারে বসে মনের সুখে টেকা গুনছিল আর নিজের স্ত্রীর ভয়াবহ ধর্ষণ চিত্র দেখছিল। খলিল আমার ছোট ছোট কাপড় এক টানে ছিঁড়ে ফেলে দিল। আমি হাত দিয়ে নিজের দেহটাকে ঢাকতে বৃথা চেষ্টা করলাম। খলিল নির্মমভাবে আমার দেহটাকে নিয়ে খেলা করতে লাগলো। খলিল তার হিংস্রতা শেষ করলে রফিক, খোকন ও একইভাবে ধর্ষণ করে। ওদের উপর্যুপরি ধর্ষণে জ্ঞান হারালাম। তবুও তাদের হিংস্রতা থামেনি পরে কামাল এসে বর্বর নির্যাতন চালায়। অতঃপর তারা তাদের শরীরকে শান্ত করে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে চলে যাবার আগে আমার নিষ্ঠুর স্বামীর কাছে আমার রূপ যৌবনের প্রশংসা করে চলে গেল। এদিকে আমি চোখ খুলতে পারছিলাম না। শরীরে প্রচন্ড আঘাত আর ক্ষত। কোনো শক্তি ছিল না শরীরে। স্বামী এসে নোংরা গালি দিয়ে বললো, এখনো শুয়ে আছিস, তোর এখনো হয় নি, যা তুর নোংরা শরীর ধুয়ে আয়। আমি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছিলাম না। তবু খুব কষ্টে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। একি আমি নিজেই নিজেকে চিনতে পারছি না। মুখে কামড়ের অনেক গুলো দাগ, কোথাও লাল হয়ে ফুলে আছে, কোথাওবা চামড়া নাই। সারা শরীরে আঁচরের দাগ। নিজের প্রতি খুব লজ্জা, ঘৃণা হচ্ছিল। বাঁচতে ইচ্ছা করলো না। কোনো কিছু না ভেবেই ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে একটা শাড়ী বেঁধে ফেললাম। ফ্যানের নিচে একটা চেয়ার রেখে চেয়ারের উপর দাড়িয়ে শাড়ীটা ভালোকরে গলায় পেঁচিয়ে নিলাম। আতঃপর নিচের চেয়ারটা পা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিলাম। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল, ক্রমশ শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছিল। মুখ দিয়ে একটু একটু শব্দ বের হচ্ছিল। এসময় আমার স্বামী রুমে ঢুকে দেখে আমি উপরে ঝুলে আছি। সে তাড়াতাড়ি লোকজন ডেকে আমায় নামাল। আমার কোনো হুঁশ ছিল না, পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করি। আমার এতটাই মন্দ ভাগ্য শেষ পর্যন্ত মরতে চেয়েও মরতে পারলাম না। বাড়িতে আনলেও শরীর খুব দুর্বল ছিল কিন্তু ভালো মন্দ খেতে দিত না। বরং অত্যাচারের মাত্রা যেন আরও বাড়িয়ে দিল। কথায় কথায় বলে তুর জন্য আমার অনেক টেকা নষ্ট হয়ছে। টেকা কি তুর মরা বাপে এসে দিয়ে গেছে? তুই সুস্থ থাকলে আমার আরও কিছু টেকা আসত। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যা। আমার ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করার আগে তুই মরিস না।এর দুদিন পরেই আমি একটু সুস্থ হতেই তার বিভিন্ন বন্ধুসহ অন্যান্য কাস্টমার নিয়ে আসতে থাকে। শরীর তখনো দুর্বল। আমাকে মানুষ মনে না করে কেবল টেকার মেশিন ভাবতে লাগলো। একের পর এক ব্যক্তির সাথে থাকতে থাকতে প্রতিটা দিন নরকের মতো মনে হতো। জানেন ভাইজান, আমি পালিয়ে যেতেও অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু যেতে পারি নি। কড়া পাহাড়া দিয়ে রাখা হতো আমায়। ৩-৪ মাস পরেই আমি কখন যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরি বুঝতে পারলাম না। একদিন দুপুরে খুব অসুস্থ হয়ে পরি, খেতে পারছিলাম না, মাথা ব্যাথা করতো, শরীরে কোনো বল ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে স্বামী আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার ভালেকরে পরীক্ষা করে জানায় যে, আমি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বামী একথা শুনেই প্রচন্ড রেগে যায়। বাড়িতে ফিরে আমার গায়ে হাত তোলে আর বলে এই বাচ্চা তুই নষ্ট করবি
অতঃপর গণিকার সাথে।।। পার্ট - ৮ ৷।
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
July 13, 2019
Rating:
No comments: