কাল আমার বিয়ে
১ম পর্ব
লেখকঃ আবির
গল্পটা পড়তে গিয়ে চোখে পানি আসতে পারে,সাথে টিস্যু পেপার নিয়ে বসো
নিলাঃ বলছে হেলো
শুভঃ হ্যা বল
নিলাঃ কি করছিস
শুভঃ শুয়ে আসি
নিলঃ দুপুরে খেয়েছিস
শুভঃ না
নিলাঃ কেন
শুভঃ টাকা নাই কাছে আর মেসে মিল নাই
নিলাঃ শয়তান বিকাল হয়ে গেছে এখনো খাসনি তাড়াতাড়ি বাহিরে আয়
ছেলেটার নাম শুভ আর মেয়েটির নাম নিলা। শুভ জানে না গেলে সুনামি বয়ে যাইবে তাই আসতেছি বলে রেডি হয়ে বাহিরে চলে আসলো একটু পরে দেখলো নিলা প্রাভেটকার করে চলে আইলো তারপর শুভ কে গাড়িতে তুলে রেস্টুরেন্ট নিয়ে গেলো শুভ এক মনে খাচ্ছে আর নিলা মন যোগ দিয়ে শুভ খাওয়া দেখছে
নিলাঃ এ ভাবে আর কত দিন
শুভঃ কি কত দিন
নিলাঃ কি কত দিন বুঝিস না,আমার টাকায় আর কত দিন এ ভাবে চালাবি বল?
শুভঃ আমার একমাত্র বউ বাপের টাকা খাবো তো এখানে কিপ্টামির কি আছে।
এ কথা বলে শুভ আবার খাওয়ায় মন দিলো আর নিলা রাগটা কে কন্ট্রোল করার চেস্টা করছে, খাওয়া শেষ হলে বিলটা দিয়ে শুভ কে নিয়ে লেকের পাড়ে চলে গেলো। চুপচাপ বসে আছে দুইজনে
নিলাঃ শুভ, এভাবে আর কত দিন চলবে বল? অন্তত কিছু একটা কর যে দিন আমি থাকবোনা কিভাবে চলবি তুই?
শুভঃ দেখ নিলা বেশি কথা বলবি না তো। তর মত একটা লক্ষি বউ থাকতে কি অন্য কিছু করা লাগে,আর তর বাবার অনেক টাকা,এগুলো খেয়ে তো দুইজনে শেষ করতে পারবো না।
নিলাঃ বয়েই গেছে তর মত ছেলের বউ হতে।
শুভঃ হবি তো হবি। তুই আমার বউ হবি বলে দিলাম।
নিলাঃ দেখ শুভ এসব কথা না বলে একটা চাকরির ব্যবস্থা কর,না হলে অন্তত কয়েকটা টিউশনি করা যেতে পারে এভাবে আমার ভয় করে আমি না থাকলে তোর কি হবে বল।
শুভঃ দেখ এসব চাকরি বাকরি আর টিউশনি আমারে দ্বারা কোনটা হবে না এমনি ভালো আছি।
নিলঃ পরে এ বুঝবি এর মজা
কথা টি বলেই রেগে নিলা উঠে চলে আসছে আর শুভও উঠে নিলার পিছু নিলো
শুভঃ চলে যাইবি যা আমার যাওয়ার ভাড়াটা তো দেয়?
নিলাঃ দিতে পারবো না, পারলে হেটে যায়।
শুভঃ ওকে গেলাম।
কথাটি বলে শুভ হাটা শুরু করে আর নিলা গাড়িতে উটে যায়,কিছুক্ষন পরে নিলার গাড়ি শুভ কাছে এনে কাচটা নামিয়ে একহাজার টাকার একটা নোট শুভ কে দিয়ে বললো।
নিলাঃ লিখে রাখিস তুই পরে শোধ করে দিস।
গাড়িটা চলে গেলো শুভ দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। এই চার টা বছরে শুভ এই নিয়ে ১লাখ ২৫হাজার চারশত ১৭টাকা নিয়েছে। নোট টা না ভাংগিয়ে হাটতে হাটতে শুভ মেসে চলে আসে। এভার এদের পরিচয় টা দেই নিলা বড় লোক বাবার এক মাত্র মেয়ে, তবে বড় লোক হলেও নিলা মত মেয়ে হয় না,রাগি হলেও মনটা খুব নরম আর শুভ গ্রামের ছেলে পরিবার বলতে শুভ নিজেই। মা বাবা সবাই ঐ দূর আকাশে থাকে। অনেক কষ্ট করে ভার্সিটি পর্যন্ত এসেছে পরিচয় বলতে এতো টুকু। ভার্সিটি তে শুভ একদম বেখেলি ভাবে চলতো উদাসীন আর উদাসীন ছেলে টা দেখে নিলার ভিষন রাগ হতো, যে ছেলে টা এমন কেন? তাই শুভর সাথে বন্ধুত্ব করে নিলা,এরপরে থেকে শুভ প্যারা শুরু।
শুভ এতো টা উদাসীন যে না খেয়ে থাকবে তবোও কিছু করবে না,তবে নিলা খুব ভালো, তাই তো শুভ যখন যা লাগে দেয়,আর এক সাথে থাকা চলা এটা তো কমন,এ চারটা ধরে শুভর জ্বালাতে নিলা পাগল প্রায়। তবুও কেন জানি শুভ কে কিছু বলতে পারে না, ছেলেটা এতিম তো তাই আর শুভর হাসি দেখলে নিলা সব রাগ চলে যায়। অপর দিকে শুভ নিজেকে নিজে যত টা না কেয়ার করে,তার চেয়ে বেশি নিলা কেয়ার করে তাইতো নিলাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে শুভ।
১ম পর্ব
লেখকঃ আবির
গল্পটা পড়তে গিয়ে চোখে পানি আসতে পারে,সাথে টিস্যু পেপার নিয়ে বসো
নিলাঃ বলছে হেলো
শুভঃ হ্যা বল
নিলাঃ কি করছিস
শুভঃ শুয়ে আসি
নিলঃ দুপুরে খেয়েছিস
শুভঃ না
নিলাঃ কেন
শুভঃ টাকা নাই কাছে আর মেসে মিল নাই
নিলাঃ শয়তান বিকাল হয়ে গেছে এখনো খাসনি তাড়াতাড়ি বাহিরে আয়
ছেলেটার নাম শুভ আর মেয়েটির নাম নিলা। শুভ জানে না গেলে সুনামি বয়ে যাইবে তাই আসতেছি বলে রেডি হয়ে বাহিরে চলে আসলো একটু পরে দেখলো নিলা প্রাভেটকার করে চলে আইলো তারপর শুভ কে গাড়িতে তুলে রেস্টুরেন্ট নিয়ে গেলো শুভ এক মনে খাচ্ছে আর নিলা মন যোগ দিয়ে শুভ খাওয়া দেখছে
নিলাঃ এ ভাবে আর কত দিন
শুভঃ কি কত দিন
নিলাঃ কি কত দিন বুঝিস না,আমার টাকায় আর কত দিন এ ভাবে চালাবি বল?
শুভঃ আমার একমাত্র বউ বাপের টাকা খাবো তো এখানে কিপ্টামির কি আছে।
এ কথা বলে শুভ আবার খাওয়ায় মন দিলো আর নিলা রাগটা কে কন্ট্রোল করার চেস্টা করছে, খাওয়া শেষ হলে বিলটা দিয়ে শুভ কে নিয়ে লেকের পাড়ে চলে গেলো। চুপচাপ বসে আছে দুইজনে
নিলাঃ শুভ, এভাবে আর কত দিন চলবে বল? অন্তত কিছু একটা কর যে দিন আমি থাকবোনা কিভাবে চলবি তুই?
শুভঃ দেখ নিলা বেশি কথা বলবি না তো। তর মত একটা লক্ষি বউ থাকতে কি অন্য কিছু করা লাগে,আর তর বাবার অনেক টাকা,এগুলো খেয়ে তো দুইজনে শেষ করতে পারবো না।
নিলাঃ বয়েই গেছে তর মত ছেলের বউ হতে।
শুভঃ হবি তো হবি। তুই আমার বউ হবি বলে দিলাম।
নিলাঃ দেখ শুভ এসব কথা না বলে একটা চাকরির ব্যবস্থা কর,না হলে অন্তত কয়েকটা টিউশনি করা যেতে পারে এভাবে আমার ভয় করে আমি না থাকলে তোর কি হবে বল।
শুভঃ দেখ এসব চাকরি বাকরি আর টিউশনি আমারে দ্বারা কোনটা হবে না এমনি ভালো আছি।
নিলঃ পরে এ বুঝবি এর মজা
কথা টি বলেই রেগে নিলা উঠে চলে আসছে আর শুভও উঠে নিলার পিছু নিলো
শুভঃ চলে যাইবি যা আমার যাওয়ার ভাড়াটা তো দেয়?
নিলাঃ দিতে পারবো না, পারলে হেটে যায়।
শুভঃ ওকে গেলাম।
কথাটি বলে শুভ হাটা শুরু করে আর নিলা গাড়িতে উটে যায়,কিছুক্ষন পরে নিলার গাড়ি শুভ কাছে এনে কাচটা নামিয়ে একহাজার টাকার একটা নোট শুভ কে দিয়ে বললো।
নিলাঃ লিখে রাখিস তুই পরে শোধ করে দিস।
গাড়িটা চলে গেলো শুভ দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। এই চার টা বছরে শুভ এই নিয়ে ১লাখ ২৫হাজার চারশত ১৭টাকা নিয়েছে। নোট টা না ভাংগিয়ে হাটতে হাটতে শুভ মেসে চলে আসে। এভার এদের পরিচয় টা দেই নিলা বড় লোক বাবার এক মাত্র মেয়ে, তবে বড় লোক হলেও নিলা মত মেয়ে হয় না,রাগি হলেও মনটা খুব নরম আর শুভ গ্রামের ছেলে পরিবার বলতে শুভ নিজেই। মা বাবা সবাই ঐ দূর আকাশে থাকে। অনেক কষ্ট করে ভার্সিটি পর্যন্ত এসেছে পরিচয় বলতে এতো টুকু। ভার্সিটি তে শুভ একদম বেখেলি ভাবে চলতো উদাসীন আর উদাসীন ছেলে টা দেখে নিলার ভিষন রাগ হতো, যে ছেলে টা এমন কেন? তাই শুভর সাথে বন্ধুত্ব করে নিলা,এরপরে থেকে শুভ প্যারা শুরু।
শুভ এতো টা উদাসীন যে না খেয়ে থাকবে তবোও কিছু করবে না,তবে নিলা খুব ভালো, তাই তো শুভ যখন যা লাগে দেয়,আর এক সাথে থাকা চলা এটা তো কমন,এ চারটা ধরে শুভর জ্বালাতে নিলা পাগল প্রায়। তবুও কেন জানি শুভ কে কিছু বলতে পারে না, ছেলেটা এতিম তো তাই আর শুভর হাসি দেখলে নিলা সব রাগ চলে যায়। অপর দিকে শুভ নিজেকে নিজে যত টা না কেয়ার করে,তার চেয়ে বেশি নিলা কেয়ার করে তাইতো নিলাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে শুভ।
কাল আমার বিয়ে ১ম পর্ব
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
January 27, 2020
Rating:
No comments: