তিনটা ফ্ল্যাট।

- রহমান সাহেব!
- হু বল!
- আমি আপনার মেয়ে নীলাকে ভালোবাসি।

- কি!
- আমি নীলাকে বিয়ে করতে চাই।
- তোর এত্তবড় সাহস!
- আমি নীলাকে ছাড়া বাঁচবো না।
- কি আছে তোর যে আমি তোর হাতে আমার মেয়েকে তুলে দিব?
- কিছুই নেই!
- তাহলে?
- আপনি ভুলে যাওয়ার অফার দিন!
- এই না বললি তুই নীলাকে ছাড়া বাঁচবি না!
- আমি গরীব না, কিন্তু ছোটলোক!
- বল, কতটাকা হলে তুই আমার মেয়েকে ভুলে যাবি!
- রহমান সাহেব! আপনি টাকা দিয়ে আমার ভালোবাসা কিনতে পারবেন না!
- সম্পত্তি দিয়ে?
- হ্যাঁ, অফার দিন।
- ২ ফ্ল্যাট দিব তোকে।
- রহমান সাহেব!
- হু বল!
- আমার ভালোবাসা এত ঠুনকো না যে মাত্র ২ টা ফ্ল্যাটের বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাবে!
- তিনটা?
- চলবে।
- ঠিক আছে৷ দিয়ে দিলাম তিনটা৷ আর যেন কোনদিন তোকে আমার বাড়ির ত্রিসীমানায় না দেখি।
- জ্বী আজ্ঞে!
কবি গুরু বলেছেন, একটু চালাক না হলে এই দুনিয়াতে টেকা কঠিন। কিন্তু আমি একটু চালাক না। অতীব চালাক। তাই আমি এখন তিনটা ফ্ল্যাটের মালিক। কিন্তু সত্যি বলতে আমার ভালোবাসা এত ঠুনকো না যে আমি নীলাকে মাত্র তিনটা ফ্ল্যাটের বিনিময়ে ভুলে যাবো। আমি ট্রিকস খাটালাম। কয়েকমাস পর আবার গেলাম রহমান সাহেবের কাছে৷
- রহমান সাহেব!
- তোকে না বললাম আমার বাড়ির ত্রিসীমানায় না ঘেঁষতে! আবার কি?
- আমি আপনার মেয়ে নীলাকে বিয়ে করতে চাই।
- কি!
- হ্যাঁ।
- কি আছে তোর যে আমি নীলাকে তোর হাতে তুলে দিব?
- তিনটা ফ্ল্যাট।
- তাহলে ভেবে দেখা যায়।
আজ আমার আর নীলার বিয়ে। রহমান সাহেব খুব হাসি খুশি ভাবেই নীলাকে আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। শত হলেও পাঁচটা ফ্ল্যাটের মালিক বলে কথা। তিনটা আগের, বিয়েতে উপহার হিসেবে আরো দুইটা। কবি গুরু ঠিকই বলেছেন, একটু চালাক না হলে দুনিয়াতে টেকা কঠিন৷ আজ চালাক বলেই নীলা এবং ফ্ল্যাট সব আমার।