হুট করেই আমার গার্লফেন্ডের বিয়ে হয়ে গেল।
আমাদের ছিল পৃথিবীর সবটাইতে সিক্রেট লাভ। আটোসাটো ভালবাসায় আমরাই ছিলাম এ যুগের সবচাইতে সুখী ক্যাপল।
প্রবল ভালবাসার গতিবেগ থাকা সত্বেও , সেদিন বিবেকের কাছে হার মেনে বসায়, বিয়েটা আর ভাঙতে পারলাম না।
.
তারপর থেকে, দিনের পর দিন বিষন্ন মনে চিন্তা ভাবনায় সময় কাটতো আমার।
কি করা যায়! কি করা যায়!
সব স্বপ্নই যেন জীবন থেকে হারিয়ে গেল, এমন মনে হতো।
একবার ভাবলাম অন্য কাউকে ট্রাই করি।
আবার ভাবলাম না,
আর এসব আর করবো না।
আমি পৃথিবীর সবচাইতে পরহেজগার মানুষে পরিনত হবো ।
পৃথিবীর আর কোন নারীই আমার নজর কাড়বে না।
হলেমও তাই, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে শুরু করলাম।
তাবলিগ জামায়াতের সাথী হলাম ।
.
এর মাঝে কি হলো!
হটাৎ একদিন শুনি , তার হাজবেন্ড তাকে পুরনো প্রেমের দায়ে ভিষণ পিটিয়েছে।
মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল শুনে।
রাগের মাথায় তার হাজবেন্ডকে দিলাম ইচ্ছা রকম পিটানি।
মামলা হলো আমার নামে , পুলিশ ধরে নিয়ে গেল আমায়।
ডিভোর্জ হয়ে গেল তাদের।
.
দাম্পত্য জীবনে বিঘ্ন ঘটানো এবং হত্যাচেষ্টার মামলায়, আমার সাজা হলো ।
আমার সাজা শেষ হওয়ার ঠিক পনেরো দিন আগে, তার বাবা ঘটা করে তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিলেন।
আমি যদি বের হয়ে কিছু করে ফেলি, সেজন্যই হয়তো!
.
আমিও এবার ভিষণ পণ করে বের হলাম।
যে যাই বলুক, আমি আর পরহেজগারি পথ ছাড়বো না।
নয়তো, এভাবে থাকলে পাগল হয়ে যাবো।
হলোও তাই, আমি এ পথে পাঁ পাড়ালাম।
ভালবাসার ব্যাথা ভিতরে চিনচিন করলেও, কিভাবে যেন বেশ শান্তিতেই থাকা হলো আমার।
কিন্তু তার! ঐ সংসারেও বাধলো বিপত্তি।
সুতরাং তার সুখে থাকা হলোনা।
.
ছেলেবেলায় এক দার্শনিকের কথা বাবা প্রায়ই পড়ে শুনাতেন।
ওটা আমার মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল।
লিন ইয়াটুং নামের সেই চীনা দার্শনিক লিখেছিলেন..."সত্যিকারের মানসিক শক্তি আসে সবচেয়ে খারাপকে মেনে নিলে"
জীবন আপনাকে যা দিয়েছে তাই মেনে নিন, ধৈর্য ধরুন।
দেখবেন সুখ, সমৃদ্ধি, একদিন আপনার জীবনেও আয়ত্ত করবে"
.
বড় হয়ে পড়েছিলাম কবি উইলিয়াম জেমস এর কথাও।
তিনি বলেছেন... "যা ঘটে গেছে, তা মেনে নাও.... কারন , যা ঘটে গেছে তাকে মেনে নিলে, তবেই দুর্ভাগ্য অতিক্রম করা যায়"
.
আমি মেনে নিলাম।
না মেনে কি করবো বলুন?
জীবনের প্রতি প্রতিশোধ নিয়ে, ভালবাসার মূল্য বোঝাবো আমি?
কি পাবো?
জীবনের সব সুখ আহ্লাদ নষ্ট করে?
অতঃপর ভাবলাম,
দেখি... জীবনের প্রয়োজনে ভালবাসা যদি আসেই!
বাহারী রঙের ভালবাসা, যে ভালবাসা অতিতের সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারবে মুহুর্তেই।
বেপোরোয়া ভালবাসায় সেদিনই আমি না হয় হবো ভালবেসে সুখী মানুষ!
----------------
আমাদের ছিল পৃথিবীর সবটাইতে সিক্রেট লাভ। আটোসাটো ভালবাসায় আমরাই ছিলাম এ যুগের সবচাইতে সুখী ক্যাপল।
প্রবল ভালবাসার গতিবেগ থাকা সত্বেও , সেদিন বিবেকের কাছে হার মেনে বসায়, বিয়েটা আর ভাঙতে পারলাম না।
.
তারপর থেকে, দিনের পর দিন বিষন্ন মনে চিন্তা ভাবনায় সময় কাটতো আমার।
কি করা যায়! কি করা যায়!
সব স্বপ্নই যেন জীবন থেকে হারিয়ে গেল, এমন মনে হতো।
একবার ভাবলাম অন্য কাউকে ট্রাই করি।
আবার ভাবলাম না,
আর এসব আর করবো না।
আমি পৃথিবীর সবচাইতে পরহেজগার মানুষে পরিনত হবো ।
পৃথিবীর আর কোন নারীই আমার নজর কাড়বে না।
হলেমও তাই, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে শুরু করলাম।
তাবলিগ জামায়াতের সাথী হলাম ।
.
এর মাঝে কি হলো!
হটাৎ একদিন শুনি , তার হাজবেন্ড তাকে পুরনো প্রেমের দায়ে ভিষণ পিটিয়েছে।
মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল শুনে।
রাগের মাথায় তার হাজবেন্ডকে দিলাম ইচ্ছা রকম পিটানি।
মামলা হলো আমার নামে , পুলিশ ধরে নিয়ে গেল আমায়।
ডিভোর্জ হয়ে গেল তাদের।
.
দাম্পত্য জীবনে বিঘ্ন ঘটানো এবং হত্যাচেষ্টার মামলায়, আমার সাজা হলো ।
আমার সাজা শেষ হওয়ার ঠিক পনেরো দিন আগে, তার বাবা ঘটা করে তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিলেন।
আমি যদি বের হয়ে কিছু করে ফেলি, সেজন্যই হয়তো!
.
আমিও এবার ভিষণ পণ করে বের হলাম।
যে যাই বলুক, আমি আর পরহেজগারি পথ ছাড়বো না।
নয়তো, এভাবে থাকলে পাগল হয়ে যাবো।
হলোও তাই, আমি এ পথে পাঁ পাড়ালাম।
ভালবাসার ব্যাথা ভিতরে চিনচিন করলেও, কিভাবে যেন বেশ শান্তিতেই থাকা হলো আমার।
কিন্তু তার! ঐ সংসারেও বাধলো বিপত্তি।
সুতরাং তার সুখে থাকা হলোনা।
.
ছেলেবেলায় এক দার্শনিকের কথা বাবা প্রায়ই পড়ে শুনাতেন।
ওটা আমার মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল।
লিন ইয়াটুং নামের সেই চীনা দার্শনিক লিখেছিলেন..."সত্যিকারের মানসিক শক্তি আসে সবচেয়ে খারাপকে মেনে নিলে"
জীবন আপনাকে যা দিয়েছে তাই মেনে নিন, ধৈর্য ধরুন।
দেখবেন সুখ, সমৃদ্ধি, একদিন আপনার জীবনেও আয়ত্ত করবে"
.
বড় হয়ে পড়েছিলাম কবি উইলিয়াম জেমস এর কথাও।
তিনি বলেছেন... "যা ঘটে গেছে, তা মেনে নাও.... কারন , যা ঘটে গেছে তাকে মেনে নিলে, তবেই দুর্ভাগ্য অতিক্রম করা যায়"
.
আমি মেনে নিলাম।
না মেনে কি করবো বলুন?
জীবনের প্রতি প্রতিশোধ নিয়ে, ভালবাসার মূল্য বোঝাবো আমি?
কি পাবো?
জীবনের সব সুখ আহ্লাদ নষ্ট করে?
অতঃপর ভাবলাম,
দেখি... জীবনের প্রয়োজনে ভালবাসা যদি আসেই!
বাহারী রঙের ভালবাসা, যে ভালবাসা অতিতের সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারবে মুহুর্তেই।
বেপোরোয়া ভালবাসায় সেদিনই আমি না হয় হবো ভালবেসে সুখী মানুষ!
----------------
( বদলে যাওয়ার গল্প )
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
December 21, 2019
Rating:
Khub valo laglo ai golpota pore,
ReplyDeleteAssa Kori Amon aro valo valo golpo post korben👌👌