(অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প)
গল্পটা খুব কষ্টের, চোখে পানি আসবেই
আমার পাসের বাসার একটা মেয়ে,নাম
মিম...
আর আমার নাম ইমন।
মিম আর আমি ২.জনেই খুব ভালো বন্ধু।
বলতে পারেন একজন আর একজনকে ছাড়া
চলে না।
হঠাত করে একদিন আমি, মিম, কে মজা
করতে করতে বল্লাম মিম, I lov u ...
ও বলে,
শুন ইমন আমি তোকে ভালবাসতে পারবো
না।
তুই সুধু আমারর বন্ধু ।
এই কথা বলেই চলে গেল আটকাতে পারলাম
না।
এভাবেই দিন যেতে লাগল কিন্তু বালিকা
তো আমাকে ভালবাসেনা কি যে করি।
বলতে বলতে বালিকার ফোন।
ওই, ইমন, কি করছ?
তোর কথাই ভাবতাছি, মিম!
চুপ থাক খাইছোছ?
না!!! তুই খাইছোছ, মিম?
হ্যা খাইছি !!
তুই এখনি খেয়ে নে৷ আর মাঠে
তাড়াতাড়ি আয়৷
আচ্ছা ৷
বলেই লাফাতে লাগলাম৷ বালিকার মনে
হয়ত আমার জন্য ভালবাসা
জাগছে৷ তাড়াতাড়ি খেয়ে গেলাম৷ গিয়েই
বললাম৷
কিরে মিম? হঠাৎ জরুরি তলফ
হুম৷সামনে আমাদের এক্সাম রে৷ তাই খুব
টেনশনে আছি
কোনো চিন্তা করিস না৷ ফেইল করলে
তরে আমি বিয়া করমু৷ তারপর দুইটা ক্রীকেট
খেলার টিম বানামু৷ তর এক দল, আমার
একদল৷ বলেই হা হা হা করে হাসি দিলাম
কিন্তু হাসি দেওয়ার পর কি ঘটল তা আমি
কেন? আমার চোখও বিশ্বাস করতে পারল
না৷ এমন ভাবে আমার গালে চড় মারল যেন
গাল দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে৷ চড়টা মেরেই
মিম বলা শুরু করল তকে বন্ধু করেই জীবনের
বড় ভুল করছি৷ আজ থেকে আমাদের বন্ধুত্ব
এখানেই শেষ৷ বলেই চলে গেল৷ আর আমার
চোখ দিয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়ছে৷ কিছুই
বুঝতে পারলাম না৷ খুব খারাপ লাগছে৷ শেষ
মেষ বন্ধুত্বটাও শেষ? কেমন জানি স্বপ্ন
স্বপ্ন লাগছে৷ তাও কিছুই করার
নেই৷ অশ্রুভরা চোখ আর বুক ভরা কষ্ট নিয়ে
বাসায় আসলাম৷ এসেই শুয়ে
পরলাম৷ বালিশটাও ভিজে গেছে৷ পুরানো
স্মৃতি গুলো মনে পরছে৷ প্রতিদিন ওকে ফোন
দিয়ে ঘুম পারানো৷ ঘুম থেকে
জাগাতাম৷ দিনে কমপক্ষে১০০ বার ফোন৷ আর
মেসেজ তো আছেই৷ সব স্মৃতি গুলো মনে
পরছে৷ আমাদের বন্ধুত্ব শেষ হলেও আমি ঠিক
আগের মতোই ফোন দিতাম৷ মেসেজ
দিতাম৷ মিম খুব বিরক্ত ফীল করত৷ তারপরও
কথা বলতে চাইতাম৷ হঠাৎ একদিন দেখলাম
মিম পার্কে এক ছেলের সাথে হেসেহেসে
কথা বলছে৷ যেন কলিজাটা ছিড়ে
যাচ্ছে৷ তাই বাসায় এসে পড়লাম৷ বুকটা
ব্যাথা করছে৷ তাই ভাবলাম মিমকে একটা
ফোন দেই৷ অনেকবার কল হওয়ার পর রিসিভ
করল
মিম বুকে ব্যথা করতেছে। ব্যথা করা
ভালো। এখন আমাকে আর ডিস্টার্ব করবি
না,
পরশু
আমার এক্সাম।
আচ্ছা নাপা খেলে ব্যথা যাবে?
হ্যাঁ যাবে। এখন আর ফোন দিস না
প্লিজ।
কিছুই
পড়া হয়নি।
কয়টা খাবো?
উফ্,,, তোর যতটা খেতে মন চায় খা।
প্লিজ
ইমন
আর না।
লাষ্ট, ভালোবাসিস??
ইমন এসব কথার কোন মানেই হয় না
আমরা
জাস্ট
ফ্রেন্ড তর অনুরোধে কিন্তু ২য় বার ফ্রেন্ড
হইছি৷ তাই যা বলছ ভাল করে বুঝে বলিস
থ্যাঙ্কস মিম রাখি।
ওকে রাখ। আর ভবিষ্যৎ এ যেন এমন কথা
আর
না শুনি?
ওকে।
ফোনটা কেটে দিলাম। একসময় মিম
মেয়েটা সারাক্ষণ আমার খবর নিত এখন আর
নেয়
না।
আর জিজ্ঞেস করেনা : "কাউকে পছন্দ করিস
কিনা
ইমন?" আর আগের মতো কি করতে হবে
বলেনা। হঠাৎ বুকের ভিতরে আবার চিপ
দিয়ে
উঠে বুকটা চেপে ধরে একটু বিছানায় শুয়ে
পড়লাম খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বিছানা
থেকে উঠে আমাকে
নাপা
খেতে হবে। কয়টা খাব?? মিম তো
বলেই দিয়েছে যতটা ইচ্ছে খেতে পারে।
সবগুলো ওষুধ মুখের ভিতরে পুরে ঘুমিয়ে
পড়লাম
কাক ডাকা ভোরে উঠে পড়ে মিম।
মোবাইল চেক করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
"যাক আজ কোন ম্যাসেজ ও নাই মিসড কল ও
নাই।"
পড়ায় মনোযোগী হয়৷ মিম মন দিয়েই পড়তে
থাকে হঠাৎ মনটা যেন কেমন কেমন করছে
তবুও ভালো ইমন জালাচ্ছে না। ছেলেটার
কোন
কমন সেন্স ও নাই যখন তখন ফোন
দিয়ে বলবে মিম এইটা হয়েছে এখন কি
করবো? অইটা হয়েছে বোরিং।
কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও মিমের মোবাইল
এর আলো জ্বলছেনা। হঠাৎ মোবাইল এ
ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। মিমের কাছে
বোরিং হ্যাপি দুইটাই লাগলো। ম্যাসেজ
অন
করে
হতাশ হয় রবি সীম কোম্পানির এস এম এস।
রবি সীমকে কয়েকশো গালাগাল দেয় সে।
ঘড়ির ঘন্টার কাটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে
কিন্ত
একটিবার এর জন্যও ইমনের মোবাইল থেকে
কল
আসেনা। হঠাৎ মিমের স্মরণ হয় গতদিনের
কথা :-
"মিম বুকে ব্যথা।"
ওর ব্রু যুগল কুঁচকে যায় মুখটা কালো হয়ে
যায়
বুকের ভিতরটা খা খা করে উঠে মন থেকে
কত
রকম ভয় করছে। রাত নটা মিম একদম পড়তে
পারছেনা বারবার ইমনের কথা মনে পড়ছে।
ইমনের
ম্যাসেজ তো তার বোরিং লাগে কিন্ত সে
কেন
এখন ইমনের ম্যাসেজ খুজছে? কিছু না
ভেবেই
ইমনের
নাম্বারে ফোন দেয়।
হ্যালো ইমন
আমি ইমনের বড় ভাই বলছিলাম। তুমি
মিম
তাই না? ইমন
তোমার কথা বলেছে এখন ও বাইরে আছে
বন্ধুদের সাথে। পরে ফোন দিও
আপনি এরকম কেঁদে কথা বলছেন কেন?
আমার কিন্ত ভয় হচ্ছে
আরেহ আমাদের বাড়িতে একজন মুরুব্বি
মারা
গেছে ওনার জন্য মন খারাপ। আর কাল
এক্সাম
যেন ভালো হয়।
ওকে ভাইয়া ইমন এলে আমার কথা
বলবেন।
মিম
কিছুই বুঝেনা ইমনকে কি সে ভালোবাসে?
এক্সামের কথা মনে পড়তেই পড়তে বসে যায়
মিম পড়ায় মন না বসলেও জোর করে পড়ছে
সে। হঠাৎ ঘুমের দেশে হারিয়ে যায় সে।
ঘুমের মাঝে কে যেন চিৎকার করছে মিম
ভালোবাসিস কন্ঠটি পরিচিত কিন্ত ধরতে
পারছেনা।
হঠাৎ ঘুম ভেংগে যায় আজ কাক ডাকার
আগেই
উঠে
গেছে। মিমের চোখে মুখে আতঙ্ক
মোবাইল টা হাতে নেয় কোন ম্যাসেজ নেই,
নেই কোন মিসড কল। মিম চায় হঠাৎ করে ই
একটা কল আসুক আর নামটা ভাসুক "Emon"
কিন্ত
নামটা
আর ভাসেনা। মিমের মনে হচ্ছে সে
ইমনকে
ভালোবাসে। ইশ যখন বলবে ইমন
ভালোবাসি
কতই না খুশী হবে সে। ভাবতেই অবাক
লাগছে।
এক্সামের পর সোজা ইমনদের বাড়িতে চলে
যায়
সে। ইমনদের বাড়িতে আগেও এসেছিল তাই
খুব
একটা কস্ট হয়নি। ইমনদের ঘরে এত মানুষ
কেন?
ইমনের বন্ধুরা সবাই এখানে ইমন কই? আগের
বার
এসেছিল তখন তো ইমন কত খুশি হয়েছিল।
ইমনের ভাই ই
মিমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইমনকে
দেখাবে
বলে। কিন্ত মিমর মনে খটকা এদিকে তো
গোরস্তান এখানে কেন আনতেছে। ইমনের
ভাই
পকেটে হাত দেয় একটা ছেড়া পাতা দেয়
মিমের
হাতে। কাগজটি পড়তে শুরু করে হ্যাঁ এটা
ইমনের
লেখা। :- "কেমন আছিস মিম? আশা করি
ভালো থাকারই কথা।
ভাইয়া
চেয়েছিল তোকে জানাতে আমার অবস্থা
ভালো না কিন্ত তোর এক্সামের এমনেই
অনেক ক্ষতি করে ফেলেছি তাই আর জানাই
নি।
এক্সাম কেমন হয়েছে? ও সরি আমিতো আর
বললেও শুনতে পাবো না। সম্ভবত তুই আমার
কবরের পাসে দাঁড়িয়ে জানিনা কোনখানে
কবর
দেওয়া হয়েছে। তবে আমি খুশি হয়েছি এই
ভেবে যে আর তোকে ডিস্টার্ব করবোনা।
আসলেই তোকে অনেক ডিস্টার্ব করেছি
মাপ
করে দিস। আর হ্যা রনি অনেক ভালো
হ্যান্ডসাম
তোর সাথে মানায় সেদিন তোদের দুজনকে
পার্কে দেখেছিলাম খুব খুশি হয়েছিলাম
আবার রনি
তুই দুজনের উপরে রাগ এসেছে। আর ও সরি
তোর এমনেই অনেক টাইম নষ্ট করেছি
সামনে
এক্সাম ভালো করে দিস। আর একটা কথা
নাপা কাজ
করেছে আমার সব ব্যথা দূর করে দিয়েছে।
থ্যাঙ্কস মাফ করে দিস। আর একটা কথা
রাগ
করিস না
"ভালোবাসি মিম?"। আবার সরি আর
জীবনেও
বলবোনা এই কানে ধরেছি। বোরিং
বোরিং
মিম ধপ করেই ইমনের কবরে বসে পড়ল৷ আর
চিৎকার করে কান্না করছে ৷ আর ওর মুখ
থেকে বের হচ্ছে, ইমন? এই ইমন? ওঠ৷ একটিবার
দেখ আমি এসেছি৷ তুই না আমাকে
ভালবাসিস ? আমিও তোকে ভালবাসিরে৷ ওঠ
ইমন ৷ ওঠ৷ তুই না দুইটা ক্রিকেট টিম বানাবি
৷ আমি রাজি রে৷নতারপরও তুই ফিরে আয়
ইমন৷ চিৎকার করে বলছে ফিরে আয়
ইমন৷ ফিরে আয় ৷ তোকে খুব ভালবাসিরে৷ ফিরে
আয়৷
কিন্তু না ইমন আর আসবে না ৷ চলে গেছে
অনেক দূর ৷ যেখানে গেলে কেউ আর ফিরে
আসেনা৷
ভালবাসার মানুষগুলোকে অবহেলা
করোনা৷ নয়ত এর ফল সারাজীবন ভোগ করতে
হবে ৷
আমার পাসের বাসার একটা মেয়ে,নাম
মিম...
আর আমার নাম ইমন।
মিম আর আমি ২.জনেই খুব ভালো বন্ধু।
বলতে পারেন একজন আর একজনকে ছাড়া
চলে না।
হঠাত করে একদিন আমি, মিম, কে মজা
করতে করতে বল্লাম মিম, I lov u ...
ও বলে,
শুন ইমন আমি তোকে ভালবাসতে পারবো
না।
তুই সুধু আমারর বন্ধু ।
এই কথা বলেই চলে গেল আটকাতে পারলাম
না।
এভাবেই দিন যেতে লাগল কিন্তু বালিকা
তো আমাকে ভালবাসেনা কি যে করি।
বলতে বলতে বালিকার ফোন।
ওই, ইমন, কি করছ?
তোর কথাই ভাবতাছি, মিম!
চুপ থাক খাইছোছ?
না!!! তুই খাইছোছ, মিম?
হ্যা খাইছি !!
তুই এখনি খেয়ে নে৷ আর মাঠে
তাড়াতাড়ি আয়৷
আচ্ছা ৷
বলেই লাফাতে লাগলাম৷ বালিকার মনে
হয়ত আমার জন্য ভালবাসা
জাগছে৷ তাড়াতাড়ি খেয়ে গেলাম৷ গিয়েই
বললাম৷
কিরে মিম? হঠাৎ জরুরি তলফ
হুম৷সামনে আমাদের এক্সাম রে৷ তাই খুব
টেনশনে আছি
কোনো চিন্তা করিস না৷ ফেইল করলে
তরে আমি বিয়া করমু৷ তারপর দুইটা ক্রীকেট
খেলার টিম বানামু৷ তর এক দল, আমার
একদল৷ বলেই হা হা হা করে হাসি দিলাম
কিন্তু হাসি দেওয়ার পর কি ঘটল তা আমি
কেন? আমার চোখও বিশ্বাস করতে পারল
না৷ এমন ভাবে আমার গালে চড় মারল যেন
গাল দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে৷ চড়টা মেরেই
মিম বলা শুরু করল তকে বন্ধু করেই জীবনের
বড় ভুল করছি৷ আজ থেকে আমাদের বন্ধুত্ব
এখানেই শেষ৷ বলেই চলে গেল৷ আর আমার
চোখ দিয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়ছে৷ কিছুই
বুঝতে পারলাম না৷ খুব খারাপ লাগছে৷ শেষ
মেষ বন্ধুত্বটাও শেষ? কেমন জানি স্বপ্ন
স্বপ্ন লাগছে৷ তাও কিছুই করার
নেই৷ অশ্রুভরা চোখ আর বুক ভরা কষ্ট নিয়ে
বাসায় আসলাম৷ এসেই শুয়ে
পরলাম৷ বালিশটাও ভিজে গেছে৷ পুরানো
স্মৃতি গুলো মনে পরছে৷ প্রতিদিন ওকে ফোন
দিয়ে ঘুম পারানো৷ ঘুম থেকে
জাগাতাম৷ দিনে কমপক্ষে১০০ বার ফোন৷ আর
মেসেজ তো আছেই৷ সব স্মৃতি গুলো মনে
পরছে৷ আমাদের বন্ধুত্ব শেষ হলেও আমি ঠিক
আগের মতোই ফোন দিতাম৷ মেসেজ
দিতাম৷ মিম খুব বিরক্ত ফীল করত৷ তারপরও
কথা বলতে চাইতাম৷ হঠাৎ একদিন দেখলাম
মিম পার্কে এক ছেলের সাথে হেসেহেসে
কথা বলছে৷ যেন কলিজাটা ছিড়ে
যাচ্ছে৷ তাই বাসায় এসে পড়লাম৷ বুকটা
ব্যাথা করছে৷ তাই ভাবলাম মিমকে একটা
ফোন দেই৷ অনেকবার কল হওয়ার পর রিসিভ
করল
মিম বুকে ব্যথা করতেছে। ব্যথা করা
ভালো। এখন আমাকে আর ডিস্টার্ব করবি
না,
পরশু
আমার এক্সাম।
আচ্ছা নাপা খেলে ব্যথা যাবে?
হ্যাঁ যাবে। এখন আর ফোন দিস না
প্লিজ।
কিছুই
পড়া হয়নি।
কয়টা খাবো?
উফ্,,, তোর যতটা খেতে মন চায় খা।
প্লিজ
ইমন
আর না।
লাষ্ট, ভালোবাসিস??
ইমন এসব কথার কোন মানেই হয় না
আমরা
জাস্ট
ফ্রেন্ড তর অনুরোধে কিন্তু ২য় বার ফ্রেন্ড
হইছি৷ তাই যা বলছ ভাল করে বুঝে বলিস
থ্যাঙ্কস মিম রাখি।
ওকে রাখ। আর ভবিষ্যৎ এ যেন এমন কথা
আর
না শুনি?
ওকে।
ফোনটা কেটে দিলাম। একসময় মিম
মেয়েটা সারাক্ষণ আমার খবর নিত এখন আর
নেয়
না।
আর জিজ্ঞেস করেনা : "কাউকে পছন্দ করিস
কিনা
ইমন?" আর আগের মতো কি করতে হবে
বলেনা। হঠাৎ বুকের ভিতরে আবার চিপ
দিয়ে
উঠে বুকটা চেপে ধরে একটু বিছানায় শুয়ে
পড়লাম খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বিছানা
থেকে উঠে আমাকে
নাপা
খেতে হবে। কয়টা খাব?? মিম তো
বলেই দিয়েছে যতটা ইচ্ছে খেতে পারে।
সবগুলো ওষুধ মুখের ভিতরে পুরে ঘুমিয়ে
পড়লাম
কাক ডাকা ভোরে উঠে পড়ে মিম।
মোবাইল চেক করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
"যাক আজ কোন ম্যাসেজ ও নাই মিসড কল ও
নাই।"
পড়ায় মনোযোগী হয়৷ মিম মন দিয়েই পড়তে
থাকে হঠাৎ মনটা যেন কেমন কেমন করছে
তবুও ভালো ইমন জালাচ্ছে না। ছেলেটার
কোন
কমন সেন্স ও নাই যখন তখন ফোন
দিয়ে বলবে মিম এইটা হয়েছে এখন কি
করবো? অইটা হয়েছে বোরিং।
কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও মিমের মোবাইল
এর আলো জ্বলছেনা। হঠাৎ মোবাইল এ
ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। মিমের কাছে
বোরিং হ্যাপি দুইটাই লাগলো। ম্যাসেজ
অন
করে
হতাশ হয় রবি সীম কোম্পানির এস এম এস।
রবি সীমকে কয়েকশো গালাগাল দেয় সে।
ঘড়ির ঘন্টার কাটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে
কিন্ত
একটিবার এর জন্যও ইমনের মোবাইল থেকে
কল
আসেনা। হঠাৎ মিমের স্মরণ হয় গতদিনের
কথা :-
"মিম বুকে ব্যথা।"
ওর ব্রু যুগল কুঁচকে যায় মুখটা কালো হয়ে
যায়
বুকের ভিতরটা খা খা করে উঠে মন থেকে
কত
রকম ভয় করছে। রাত নটা মিম একদম পড়তে
পারছেনা বারবার ইমনের কথা মনে পড়ছে।
ইমনের
ম্যাসেজ তো তার বোরিং লাগে কিন্ত সে
কেন
এখন ইমনের ম্যাসেজ খুজছে? কিছু না
ভেবেই
ইমনের
নাম্বারে ফোন দেয়।
হ্যালো ইমন
আমি ইমনের বড় ভাই বলছিলাম। তুমি
মিম
তাই না? ইমন
তোমার কথা বলেছে এখন ও বাইরে আছে
বন্ধুদের সাথে। পরে ফোন দিও
আপনি এরকম কেঁদে কথা বলছেন কেন?
আমার কিন্ত ভয় হচ্ছে
আরেহ আমাদের বাড়িতে একজন মুরুব্বি
মারা
গেছে ওনার জন্য মন খারাপ। আর কাল
এক্সাম
যেন ভালো হয়।
ওকে ভাইয়া ইমন এলে আমার কথা
বলবেন।
মিম
কিছুই বুঝেনা ইমনকে কি সে ভালোবাসে?
এক্সামের কথা মনে পড়তেই পড়তে বসে যায়
মিম পড়ায় মন না বসলেও জোর করে পড়ছে
সে। হঠাৎ ঘুমের দেশে হারিয়ে যায় সে।
ঘুমের মাঝে কে যেন চিৎকার করছে মিম
ভালোবাসিস কন্ঠটি পরিচিত কিন্ত ধরতে
পারছেনা।
হঠাৎ ঘুম ভেংগে যায় আজ কাক ডাকার
আগেই
উঠে
গেছে। মিমের চোখে মুখে আতঙ্ক
মোবাইল টা হাতে নেয় কোন ম্যাসেজ নেই,
নেই কোন মিসড কল। মিম চায় হঠাৎ করে ই
একটা কল আসুক আর নামটা ভাসুক "Emon"
কিন্ত
নামটা
আর ভাসেনা। মিমের মনে হচ্ছে সে
ইমনকে
ভালোবাসে। ইশ যখন বলবে ইমন
ভালোবাসি
কতই না খুশী হবে সে। ভাবতেই অবাক
লাগছে।
এক্সামের পর সোজা ইমনদের বাড়িতে চলে
যায়
সে। ইমনদের বাড়িতে আগেও এসেছিল তাই
খুব
একটা কস্ট হয়নি। ইমনদের ঘরে এত মানুষ
কেন?
ইমনের বন্ধুরা সবাই এখানে ইমন কই? আগের
বার
এসেছিল তখন তো ইমন কত খুশি হয়েছিল।
ইমনের ভাই ই
মিমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইমনকে
দেখাবে
বলে। কিন্ত মিমর মনে খটকা এদিকে তো
গোরস্তান এখানে কেন আনতেছে। ইমনের
ভাই
পকেটে হাত দেয় একটা ছেড়া পাতা দেয়
মিমের
হাতে। কাগজটি পড়তে শুরু করে হ্যাঁ এটা
ইমনের
লেখা। :- "কেমন আছিস মিম? আশা করি
ভালো থাকারই কথা।
ভাইয়া
চেয়েছিল তোকে জানাতে আমার অবস্থা
ভালো না কিন্ত তোর এক্সামের এমনেই
অনেক ক্ষতি করে ফেলেছি তাই আর জানাই
নি।
এক্সাম কেমন হয়েছে? ও সরি আমিতো আর
বললেও শুনতে পাবো না। সম্ভবত তুই আমার
কবরের পাসে দাঁড়িয়ে জানিনা কোনখানে
কবর
দেওয়া হয়েছে। তবে আমি খুশি হয়েছি এই
ভেবে যে আর তোকে ডিস্টার্ব করবোনা।
আসলেই তোকে অনেক ডিস্টার্ব করেছি
মাপ
করে দিস। আর হ্যা রনি অনেক ভালো
হ্যান্ডসাম
তোর সাথে মানায় সেদিন তোদের দুজনকে
পার্কে দেখেছিলাম খুব খুশি হয়েছিলাম
আবার রনি
তুই দুজনের উপরে রাগ এসেছে। আর ও সরি
তোর এমনেই অনেক টাইম নষ্ট করেছি
সামনে
এক্সাম ভালো করে দিস। আর একটা কথা
নাপা কাজ
করেছে আমার সব ব্যথা দূর করে দিয়েছে।
থ্যাঙ্কস মাফ করে দিস। আর একটা কথা
রাগ
করিস না
"ভালোবাসি মিম?"। আবার সরি আর
জীবনেও
বলবোনা এই কানে ধরেছি। বোরিং
বোরিং
মিম ধপ করেই ইমনের কবরে বসে পড়ল৷ আর
চিৎকার করে কান্না করছে ৷ আর ওর মুখ
থেকে বের হচ্ছে, ইমন? এই ইমন? ওঠ৷ একটিবার
দেখ আমি এসেছি৷ তুই না আমাকে
ভালবাসিস ? আমিও তোকে ভালবাসিরে৷ ওঠ
ইমন ৷ ওঠ৷ তুই না দুইটা ক্রিকেট টিম বানাবি
৷ আমি রাজি রে৷নতারপরও তুই ফিরে আয়
ইমন৷ চিৎকার করে বলছে ফিরে আয়
ইমন৷ ফিরে আয় ৷ তোকে খুব ভালবাসিরে৷ ফিরে
আয়৷
কিন্তু না ইমন আর আসবে না ৷ চলে গেছে
অনেক দূর ৷ যেখানে গেলে কেউ আর ফিরে
আসেনা৷
ভালবাসার মানুষগুলোকে অবহেলা
করোনা৷ নয়ত এর ফল সারাজীবন ভোগ করতে
হবে ৷
(অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প)
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
November 03, 2019
Rating:
No comments: