লুতুপুতুর প্রেমের ভিড়ে কিছু মানুষের প্রেম না করা ও প্রেমে না পড়ার কারণ একটাই।আর তা হলো তাদের প্রেম করার ধরণ এবং প্রেমের তৃষ্ণা অনেকটা পুরনো, বর্তমানে বিরল।সখি,প্রিয় এর বদলে বাবু,জান বলতে পারে না তারা।বিশাল দেহের দুজন দুজনকে কেন বাবু ডাকে তারা সে ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না।
বর্তমান প্রেমের মূল শর্তগুলো প্রায় এমন- প্রেমিকের হাতে পয়সা আবশ্যক, রেস্টুরেন্ট থেকে রেস্টুরেন্ট ঘুরা,বেশি বেশি দুষ্টুমি, স্বামী-স্ত্রীর মতো আচরণ, অধিকার দেখানো আরও কত কি!
এটুকু পড়েই লুতুপুতুর প্রেমিক প্রেমিকারা রেগে যাবে না!!
আমি নিজেকে লক্ষ্যহীন করিনি কিন্তু। তোমাদের প্রেম টিকবে না, বলি নি।একটা চলে গেলে অসংখ্য প্রেম আসছে,যাচ্ছে বা আসবে,যাবে। তবে ক'টা মনের অন্তরে দীর্ঘস্থায়ী হয়? কয়টা থেকেই বা ভালোবাসার জাগ্রণ ঘটে? প্রেমের ধর্ম,সৌন্দর্য পাল্টে গেলো।
এমন যদি হয়...
লম্বা রাস্তা হেঁটে শেষ হবে তবে গল্প শেষ হবে না।হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে টং এ বসব চা খেতে।কখনো কাঠফাটা রোদে ঠান্ডা আইসক্রিম খাব আর তা গলে হাত বেয়ে পড়ে হাত হবে আঠালো। কি মজার ব্যাপার।যদি একসঙ্গে আমরা আর হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামল।এমন অবস্থায় বাড়ি ফেরা উচিত কিন্তু বাড়ি ফিরব ঠান্ডা-সর্দি নিয়ে।মাঝে মাঝে চমকাবো দুজন দুজনকে। কল দিয়ে বলবি- এক্ষুনি শাড়ি পরে তোদের গলির মোড়ে আয়।মেকআপ দিলে খবর আছে...
বাসা থেকে যা-তা বলে বের হব আর দেখব গলির মোড়ে তুই লুঙ্গি,ফতুয়া পরে দাঁড়ানো।আমি এগুতেই তুই হাত বাড়িয়ে বলবি- চল সখি তোরে ফুচকা খাওয়াই।এমন কান্ড দেখে আমি অট্টহাসিতে ভেঙ্গে পড়ব।ভয়ংকর,বিশাল,বিশ্রী হাসিতে তুইও যোগ দিবি।
থাক আজ আর বলব না।
No comments: