আম্মুর কাছে শুনেছি,
আমার নাকি একটা যমজ ভাই ছিল। প্রিম্যাচিউর ছিলাম আমরা। এত ছোট ছিলাম যে, মা সবসময় ভয়ে থাকতেন, আমরা হয়ত বাঁচবনা। আমাদের যখন তিনমাস বয়স, তখন এক সকালবেলা উঠে মা দেখেন, আমার ভাই আর শ্বাস নিচ্ছে না। ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়া ভাইটার কথা আমার কিছুই মনে নেই, কিন্তু আমি ওর গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। তাই একটু একটু যখন কেবল বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই ভাবতাম, মানুষ কেন মারা যায়? একটু ঠান্ডা লাগলে বা সামান্য ব্যাথা পেলেই ভয় পেয়ে যেতাম, ডাক্তারের কাছে যেতে চাইতাম। তখন মা বলত, বড় হলে তোমাকেই ডাক্তার বানাব। তখন নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে পারবে।
সেই থেকেই যে মাথায় ঢুকল, ডাক্তার হব, তা কখনো পরিবর্তন হয়নি। মা মাদরাসার শিক্ষিকা বলেই চাইতেন, একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম সম্পর্কে যতটুকু জানা আবশ্যিক আমি যেন তা জানতে পারি। তাই মাদরাসায় ভর্তি হলাম। মাদরাসায় পড়া সত্ত্বেও আমার বাংলা ইংরেজি গণিতে কখনো ঘাটতি ছিল না, আমার শিক্ষক বাবার কারণে। আলিয়া মাদরাসায় ছিলাম বলে আমাদের সিলেবাসেও অবশ্য বাংলা ইংরেজি গণিত ছিল।
এস এস সির পর আমার সাথের বন্ধুরা সবাই মাদরাসা ছেড়ে, ঢাকা কলেজ, নটরডেম এর মত কলেজ গুলোতে চলে গেল। কারণ একটাই মাদরাসায় তখন চতুর্থ বিষয় হিসেবে হয় জীববিজ্ঞান, না হয় গণিত নেয়া যেত, দুইটা একসাথে নেয়া যেত না। আমিও মা কে বললাম, অন্য কলেজে ভর্তি হতে চাই। জীবনে কোন কিছুতে মা আমাকে জোর করেন নাই, কিন্তু এইবার করলেন, বললেন, তোমার ভাগ্যে যদি ডাক্তার হওয়া থাকে, তাহলে তুমি মাদরাসায় থেকেও মেডিকেলে চান্স পাবে। মায়ের কথায় আমি তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায়ই থেকে গেলাম। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত, আমার সব বন্ধু চলে গিয়েছিল, স্কুলের আমরা মাত্র তিনজন থেকে গেলাম। সেই সাথে যত বড় ভাইদের কথা শুনতাম, সবাই ঢাকা ভার্সিটির ডি ইউনিট, বি ইউনিটে ভালো রেসাল্ট করতেন, মেডিকেলে এডমিশন টেস্টে কেউ ভাল করেছেন, এমন কখনো শুনতাম না।
সবকিছু মাথায় রেখেই শুধুমাত্র মেডিকেলের প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে আমার রেসাল্ট ভাল হল না। সেই রাতে বাবাকে বলেছিলাম, আমাকে আর একটা বছর চেষ্টা করার সুযোগ দিতে। বাবা সাথে সাথেই রাজি হয়েছিলেন। সেই একটা বছর কেবল মনে প্রাণে পড়া গুছিয়েছি, কোথাও ভর্তি হইনি। পরীক্ষা যখন প্রায় কাছে চলে এসেছে, তখন ঘোষণা আসল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এবার থেকে আর হবে না, জিপিএ এর ভিত্তিতে মেডিকেলে ভর্তি নেয়া হবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা হয়েছিল। ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে চিরকালের নিরীহ আমিও যেতাম, শ্লোগান দিতাম। অবশেষে ভর্তি পরীক্ষা হবে এই ঘোষণা এল, কিন্তু অনেক দেরিতে, নভেম্বরে। অনেক অনিশ্চয়তার কথা ভেবে বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দেয়া শুরু করলাম। অন্যরা যখন মন দিয়ে পড়ছিল, আমি তখন সারাদেশ ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটা ইউনিটে প্রথম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক উইউনিটে ৩৪৩ তম হওয়ার পর একটু কনফিডেন্স ফিরে পেলাম। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর বাবা যখন জিজ্ঞেস করল, কেমন হয়েছে, আমি বলেছিলাম, এর চেয়ে ভালো আর হওয়া সম্ভব না।
রেসাল্টের দিনটার কথা কখনো ভুলব না। আসুরার ছুটি ছিল সেদিন, আমি রোযা রেখেছিলাম। বাসার সামনে বন্ধুর সাথে ক্রিকেট খেলছিলাম, আমার ফোন ছিল বন্ধুর হাতে। চিরকাল আমার সব মেসেজ চেক করা বন্ধুটি, ফোন এগিয়ে দিয়ে বলল, তোর একটা মেসেজ এসেছে। বন্ধু কেন মেসেজ পড়ে নাই, এইটা ভাবতে ভাবতে মেসেজ খুলে দেখি, আমি ফার্স্ট হয়েছি। এক দৌড়ে বাসায় গিয়ে সবাইকে বললাম, সেদিন মা অনেক কেদেছিলেন।
মাদরাসার ছেলেমেয়েরা আসলে মেডিকেল এডমিশন টেস্টে ভাল না করার কারণ হল, দেশের মেধাবীরা বেশিরভাগই মাদরাসায় যায় না, গেলেও তারা এইচ এস সি তে অন্য কলেজে চলে যায়, তখন ভাল কোথাও চান্স পেলেও মাদরাসার নামটা আর আসে না। এমনকি আমি ফার্স্ট হওয়ার আগে অনেকে জানতই না, মাদ্রাসা থেকে পড়ে মেডিকেলে এডমিশন টেস্ট দেয়া যায়। আমি বলব, শুধু যে দেয়া সম্ভব তাই নয়, অনেক ভাল রেজাল্ট করাও সম্ভব। পিছনে ফিরে তাকালে তাই জীবনের কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে আফসোস নেই। আমার মা, বাবা এবং শিক্ষকগণ আমাকে এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে সাহায্য করেছেন বলেই আজ আমি এখানে আছি, সুপ্রভ'৭০ এর প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। যেখানেই থাকি না কেন, জীবনের শেষপ্রান্তেও এমনভাবেই আমার গর্বের জায়গা হয়ে থাকবে এই মেডিকেল কলেজ, অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমার মেধাবী সহপাঠীরা আর আমার সবচেয়ে শ্রদ্ধার পাত্র স্বনামধন্য সব শিক্ষকরা। আমি সৌভাগ্যবান, হয়তো প্রথম হওয়ার সুবাদেই অনেক প্রথিতযশা শিক্ষকদের এত কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়েছে।
I had a twin brother. We came into this world prematurely. Mother says we were so tiny that she used to be in constant fear for our lives. We were three months old when one morning she woke up to see my brother not breathing anymore. I grew up listening to stories about him, how he died in his sleep. So I was that weird little kid who used to think about things like ‘why people die?’ I used to be terrified and wanted to see a doctor whenever I caught cold or had any injury. My mother used to say, you will be a doctor when you grow up, so you can treat yourself.
Since then, I have always wanted to be a doctor. As my mother was a teacher in a madrasa, she wanted me to grow up learning all about Islam. So I was admitted into a madrasa. But I had no failings in English, Bangla or Maths, my father made sure of that. I was in an Alia madrasa, so my syllabus covered those subjects too.
After SSC all of my friends left madrasa to study in colleges like Notre Dem, Dhaka College. There was this rule back then, you couldn't take both biology and mathematics, if you studied in madrasa. So I wanted to leave too. But my mother said, if you are destined to be a doctor, you will be a doctor no matter where you study. So I kept her word and continued my studies in Kamirul Millat Tamil madrasa. It was hard at first. All of my friends had left, leaving only three of us behind. On top of that, we never heard of any news of success in medical admission tests from our seniors at madrasa.
In spite of everything, I prepared myself only for medical admission test. But I didn't do so welI in the exam. I knew I wouldn't get in. I called my father that night and asked for his permission to take the test one more time. He agreed. The following year I gave my everything into my studies. As the test was nearing, there was an official notice from the government that they are not going to take medical admission tests anymore. Students will be chosen according to their results in HSC Examination. My world was turned upside down. I participated in the protest for medical admission test. At long last, the notice for the exam came, but the date was in November. I had no options other than attending admission tests in other versities, I couldn't take any more risks. so while everyone was studying, I was roaming around the country, appearing in admission tests. I regained my confidence after I stood first in Rajshahi university and stood 343th in Dhaka University. So this time when my father asked after I had just come out of medical admission test, I said, it couldn't have gone any better.
I will never forget the day of result. It was a holiday of Ashura and I was fasting. I was playing cricket with my friends, one of my friends had my phone. He said to me, you have a new message. He had this habit of reading my messages before I did, so I was wondering why he left it unread when I saw, I stood first in medical admission test, it was a message notifying me that. I ran to home and told everyone, my mother cried a lot that day.
Most of the meritorious students of our country don't study in madrasa, even if they do, they leave it for other colleges in HSC, hence the poor result in medical admission test from madrasa. Many people didn't even know that you could take the test from madrasa. I want to say, its not only possible to take the exam, its possible to do really well in it, even if you are from such background. So I don't have any regrets of the decisions I have made so far, I am thankful to my parents and teachers for helping me make those decisions, they got me where I am today. Its something special to be the monitor of Suprovo 70, I will always cherish the experience with my fellow classmates and respected teachers no matter where I am in my life. I am lucky that I got the opportunity to be in the vicinity of so many respected tachers, one of the most valuable rewards of being the batch monitor.
Abdullah Al Mahmud
DMC, K-70
First in Medical Admission test 2012-13
আমার নাকি একটা যমজ ভাই ছিল। প্রিম্যাচিউর ছিলাম আমরা। এত ছোট ছিলাম যে, মা সবসময় ভয়ে থাকতেন, আমরা হয়ত বাঁচবনা। আমাদের যখন তিনমাস বয়স, তখন এক সকালবেলা উঠে মা দেখেন, আমার ভাই আর শ্বাস নিচ্ছে না। ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়া ভাইটার কথা আমার কিছুই মনে নেই, কিন্তু আমি ওর গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। তাই একটু একটু যখন কেবল বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই ভাবতাম, মানুষ কেন মারা যায়? একটু ঠান্ডা লাগলে বা সামান্য ব্যাথা পেলেই ভয় পেয়ে যেতাম, ডাক্তারের কাছে যেতে চাইতাম। তখন মা বলত, বড় হলে তোমাকেই ডাক্তার বানাব। তখন নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে পারবে।
সেই থেকেই যে মাথায় ঢুকল, ডাক্তার হব, তা কখনো পরিবর্তন হয়নি। মা মাদরাসার শিক্ষিকা বলেই চাইতেন, একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম সম্পর্কে যতটুকু জানা আবশ্যিক আমি যেন তা জানতে পারি। তাই মাদরাসায় ভর্তি হলাম। মাদরাসায় পড়া সত্ত্বেও আমার বাংলা ইংরেজি গণিতে কখনো ঘাটতি ছিল না, আমার শিক্ষক বাবার কারণে। আলিয়া মাদরাসায় ছিলাম বলে আমাদের সিলেবাসেও অবশ্য বাংলা ইংরেজি গণিত ছিল।
এস এস সির পর আমার সাথের বন্ধুরা সবাই মাদরাসা ছেড়ে, ঢাকা কলেজ, নটরডেম এর মত কলেজ গুলোতে চলে গেল। কারণ একটাই মাদরাসায় তখন চতুর্থ বিষয় হিসেবে হয় জীববিজ্ঞান, না হয় গণিত নেয়া যেত, দুইটা একসাথে নেয়া যেত না। আমিও মা কে বললাম, অন্য কলেজে ভর্তি হতে চাই। জীবনে কোন কিছুতে মা আমাকে জোর করেন নাই, কিন্তু এইবার করলেন, বললেন, তোমার ভাগ্যে যদি ডাক্তার হওয়া থাকে, তাহলে তুমি মাদরাসায় থেকেও মেডিকেলে চান্স পাবে। মায়ের কথায় আমি তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায়ই থেকে গেলাম। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত, আমার সব বন্ধু চলে গিয়েছিল, স্কুলের আমরা মাত্র তিনজন থেকে গেলাম। সেই সাথে যত বড় ভাইদের কথা শুনতাম, সবাই ঢাকা ভার্সিটির ডি ইউনিট, বি ইউনিটে ভালো রেসাল্ট করতেন, মেডিকেলে এডমিশন টেস্টে কেউ ভাল করেছেন, এমন কখনো শুনতাম না।
সবকিছু মাথায় রেখেই শুধুমাত্র মেডিকেলের প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে আমার রেসাল্ট ভাল হল না। সেই রাতে বাবাকে বলেছিলাম, আমাকে আর একটা বছর চেষ্টা করার সুযোগ দিতে। বাবা সাথে সাথেই রাজি হয়েছিলেন। সেই একটা বছর কেবল মনে প্রাণে পড়া গুছিয়েছি, কোথাও ভর্তি হইনি। পরীক্ষা যখন প্রায় কাছে চলে এসেছে, তখন ঘোষণা আসল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এবার থেকে আর হবে না, জিপিএ এর ভিত্তিতে মেডিকেলে ভর্তি নেয়া হবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা হয়েছিল। ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে চিরকালের নিরীহ আমিও যেতাম, শ্লোগান দিতাম। অবশেষে ভর্তি পরীক্ষা হবে এই ঘোষণা এল, কিন্তু অনেক দেরিতে, নভেম্বরে। অনেক অনিশ্চয়তার কথা ভেবে বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দেয়া শুরু করলাম। অন্যরা যখন মন দিয়ে পড়ছিল, আমি তখন সারাদেশ ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটা ইউনিটে প্রথম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক উইউনিটে ৩৪৩ তম হওয়ার পর একটু কনফিডেন্স ফিরে পেলাম। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর বাবা যখন জিজ্ঞেস করল, কেমন হয়েছে, আমি বলেছিলাম, এর চেয়ে ভালো আর হওয়া সম্ভব না।
রেসাল্টের দিনটার কথা কখনো ভুলব না। আসুরার ছুটি ছিল সেদিন, আমি রোযা রেখেছিলাম। বাসার সামনে বন্ধুর সাথে ক্রিকেট খেলছিলাম, আমার ফোন ছিল বন্ধুর হাতে। চিরকাল আমার সব মেসেজ চেক করা বন্ধুটি, ফোন এগিয়ে দিয়ে বলল, তোর একটা মেসেজ এসেছে। বন্ধু কেন মেসেজ পড়ে নাই, এইটা ভাবতে ভাবতে মেসেজ খুলে দেখি, আমি ফার্স্ট হয়েছি। এক দৌড়ে বাসায় গিয়ে সবাইকে বললাম, সেদিন মা অনেক কেদেছিলেন।
মাদরাসার ছেলেমেয়েরা আসলে মেডিকেল এডমিশন টেস্টে ভাল না করার কারণ হল, দেশের মেধাবীরা বেশিরভাগই মাদরাসায় যায় না, গেলেও তারা এইচ এস সি তে অন্য কলেজে চলে যায়, তখন ভাল কোথাও চান্স পেলেও মাদরাসার নামটা আর আসে না। এমনকি আমি ফার্স্ট হওয়ার আগে অনেকে জানতই না, মাদ্রাসা থেকে পড়ে মেডিকেলে এডমিশন টেস্ট দেয়া যায়। আমি বলব, শুধু যে দেয়া সম্ভব তাই নয়, অনেক ভাল রেজাল্ট করাও সম্ভব। পিছনে ফিরে তাকালে তাই জীবনের কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে আফসোস নেই। আমার মা, বাবা এবং শিক্ষকগণ আমাকে এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে সাহায্য করেছেন বলেই আজ আমি এখানে আছি, সুপ্রভ'৭০ এর প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। যেখানেই থাকি না কেন, জীবনের শেষপ্রান্তেও এমনভাবেই আমার গর্বের জায়গা হয়ে থাকবে এই মেডিকেল কলেজ, অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমার মেধাবী সহপাঠীরা আর আমার সবচেয়ে শ্রদ্ধার পাত্র স্বনামধন্য সব শিক্ষকরা। আমি সৌভাগ্যবান, হয়তো প্রথম হওয়ার সুবাদেই অনেক প্রথিতযশা শিক্ষকদের এত কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়েছে।
I had a twin brother. We came into this world prematurely. Mother says we were so tiny that she used to be in constant fear for our lives. We were three months old when one morning she woke up to see my brother not breathing anymore. I grew up listening to stories about him, how he died in his sleep. So I was that weird little kid who used to think about things like ‘why people die?’ I used to be terrified and wanted to see a doctor whenever I caught cold or had any injury. My mother used to say, you will be a doctor when you grow up, so you can treat yourself.
Since then, I have always wanted to be a doctor. As my mother was a teacher in a madrasa, she wanted me to grow up learning all about Islam. So I was admitted into a madrasa. But I had no failings in English, Bangla or Maths, my father made sure of that. I was in an Alia madrasa, so my syllabus covered those subjects too.
After SSC all of my friends left madrasa to study in colleges like Notre Dem, Dhaka College. There was this rule back then, you couldn't take both biology and mathematics, if you studied in madrasa. So I wanted to leave too. But my mother said, if you are destined to be a doctor, you will be a doctor no matter where you study. So I kept her word and continued my studies in Kamirul Millat Tamil madrasa. It was hard at first. All of my friends had left, leaving only three of us behind. On top of that, we never heard of any news of success in medical admission tests from our seniors at madrasa.
In spite of everything, I prepared myself only for medical admission test. But I didn't do so welI in the exam. I knew I wouldn't get in. I called my father that night and asked for his permission to take the test one more time. He agreed. The following year I gave my everything into my studies. As the test was nearing, there was an official notice from the government that they are not going to take medical admission tests anymore. Students will be chosen according to their results in HSC Examination. My world was turned upside down. I participated in the protest for medical admission test. At long last, the notice for the exam came, but the date was in November. I had no options other than attending admission tests in other versities, I couldn't take any more risks. so while everyone was studying, I was roaming around the country, appearing in admission tests. I regained my confidence after I stood first in Rajshahi university and stood 343th in Dhaka University. So this time when my father asked after I had just come out of medical admission test, I said, it couldn't have gone any better.
I will never forget the day of result. It was a holiday of Ashura and I was fasting. I was playing cricket with my friends, one of my friends had my phone. He said to me, you have a new message. He had this habit of reading my messages before I did, so I was wondering why he left it unread when I saw, I stood first in medical admission test, it was a message notifying me that. I ran to home and told everyone, my mother cried a lot that day.
Most of the meritorious students of our country don't study in madrasa, even if they do, they leave it for other colleges in HSC, hence the poor result in medical admission test from madrasa. Many people didn't even know that you could take the test from madrasa. I want to say, its not only possible to take the exam, its possible to do really well in it, even if you are from such background. So I don't have any regrets of the decisions I have made so far, I am thankful to my parents and teachers for helping me make those decisions, they got me where I am today. Its something special to be the monitor of Suprovo 70, I will always cherish the experience with my fellow classmates and respected teachers no matter where I am in my life. I am lucky that I got the opportunity to be in the vicinity of so many respected tachers, one of the most valuable rewards of being the batch monitor.
Abdullah Al Mahmud
DMC, K-70
First in Medical Admission test 2012-13
First in Medical Admission test
Reviewed by NINDOOK LIFE
on
January 26, 2020
Rating:
No comments: